বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার বাছাইয়ের প্রথম রাউন্ডে দুই দলের ফিরতি পর্বের ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়। প্রথম পর্বে লাওসের মাঠে ১-০ ব্যবধানে জিতেছিল বাংলাদেশ। ম্যাচ শেষে ডে জানান আজকের রাতটি শিষ্যদের জন্য উদযাপনের রাত।
“কি হতো যদি আমরা আরও ভালো খেলতাম কিন্তু হারতাম বা বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দ্বিতীয় পর্বে উঠতে ব্যর্থ হতাম? তাহলে কি হতো? ভালো খেলার কি মূল্য থাকত? আমারা দ্বিতীয় পর্বে উঠেছি। লক্ষ্য পূরণ করেছি। তাই লক্ষ্য পূরণ হওয়ায় আমি খুশি।”
“সবাই চিন্তিত ছিল বাংলাদেশ দ্বিতীয় পর্বে যেতে পারবে কিনা। কিন্তু আমি কখনই এ নিয়ে চিন্তিত ছিলাম না। ছেলেদের প্রতি আমার বিশ্বাস ছিল।”
“ছেলেদের বলেছি আজ রাতে উদযাপন করতে। এজন্য ওরা গত এক বছর কঠোর পরিশ্রম করেছে।”
খেলা নিয়ে খুশি অধিনায়ক জামাল ভূইয়া উদযাপন নিয়ে ওঠা প্রশ্নের উত্তরে বললেন, “কিন্তু কিভাবে উদযাপন করব, সেটা (আপনাদের) বলব না। এটা আমরা গোপন রাখতে চাই।”
দ্বিতীয়ার্ধে তিনটি ভালো সুযোগ পায় বাংলাদেশ। ৫৩তম মিনিটে গোলমুখ থেকে দুর্বল হেডে সুযোগ নষ্ট করেন জীবন। এরপর ৭৮তম মিনিটে মাহবুবুর রহমান সুফিল গোলমুখ থেকে টোকা দিতে ব্যর্থ হন। লক্ষ্যভ্রষ্ট হেডে হতাশা আরও বাড়ান মোহাম্মদ ইব্রাহিম। ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতা নিয়েও কোনো কড়া কথা নেই কোচের মুখে।
“আমরা চারটা সুযোগ তৈরি করেছি কিন্তু গোল করতে পারিনি। সুযোগগুলো কাজে লাগানো উচিত ছিল। কিন্তু (দ্বিতীয় পর্বে) কোয়ালিফাই করা বড় ব্যাপার এবং আমরা সেটা করতে পেরেছি।”
ম্যাচ শেষের প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশকে ‘ভাগ্যবান’ উল্লেখ করে লাওস কোচ ভি সুন্দ্রামুর্তির দাবি করলেন, ভালো খেলেছে তার দল।
“বাংলাদেশ লাকি। আমরা ভালো খেলেছি। আক্রমণ করে সুযোগও তৈরি করেছি কিন্তু অ্যাটাকিং থার্ডে গিয়ে ঠিকঠাক সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি।”