২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্রথম পর্বের প্রথম লেগে লাওসের জাতীয় স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার রবিউল হাসানের ৭২তম মিনিটে গোলে ১-০ ব্যবধানে জিতে বাংলাদেশ। আগামী মঙ্গলবার ফিরতি পর্বে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে লাওসের সঙ্গে খেলবে বাংলাদেশ।
শনিবার দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন ডে। কোচের কথায় উঠে আসে জয়ের স্বস্তির সঙ্গে ফিরতি পর্ব নিয়ে সতর্কতার বিষয়টিও।
“আমরা প্রতিপক্ষের মাঠে জিতেছি কিন্তু এখনও বিশ্বাস করি, দ্বিতীয় লেগ খুব কঠিন হবে। লাওস এখানে জয়ের জন্য আসবে। জয়টা তাদের দরকার। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে তাদের আটকে রাখা। তাদের কিছু বিপদজ্জনক খেলোয়াড়কে চিনি। প্রথম লেগ জেতার সুবিধাটুকু থাকলেও আমরা জানি দ্বিতীয় লেগে আমাদের পারফর্ম করতে হবে।”
অধিনায়ক জামালও সুর মেলালেন কোচের সুরে, “আমরা জিতেছি এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ভালো খেলিনি, বিশেষ করে প্রথমার্ধে। দ্বিতীয়ার্ধে মোটামুটি খেলেছি। গোল পেয়েছি-এটা সবচেয়ে বড় কথা। সবসময় জয়ের মোটিভেশন ছিল।”
“সবাই জানে আমাদের জন্য লাওস ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ। তাদের বিপক্ষে না জিতলে আমরা আগামী দুই বছর ফিফার কোনো ম্যাচ খেলতে পারব না। প্রথম পর্ব জিতলেও আমরা নিরাপদ নই। ৩০ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। ফিরতি পর্বে বাকি ৭০ ভাগ শেষ করতে হবে।”
“সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা জানি…সেখানেও আমাদের পরের ধাপে যাওয়ার সুযোগ ছিল কিন্তু শেষ পর্যন্ত যেতে পারিনি। লাওসের বিপক্ষে ফিরতি পর্বেও ভালো খেলতে হবে। জিততে হবে। তবে হ্যাঁ প্রথম পর্ব জেতায় আমরা কিছুটা সুবিধা পাব।”
জয় চান জামালও, “ফিরতি পর্বে ড্রয়ের লক্ষ্য নয়, সবাই চায় আমরা জিতি, আমরাও জিততে চাই। যদিও ড্র প্রয়োজন কিন্তু আমরা জয়ের জন্য খেলব।”
লাওসের মাঠে প্রথমার্ধের খেলা নিয়ে কোচ, অধিনায়ক কেউই খুশি নন। দুজনের স্বীকার করেছেন স্নায়ুর চাপে ছিল দল।
কোচ বলেন, “প্রথমার্ধে আমরা একটু চাপে ছিলাম; নার্ভাস ছিলাম; জানি না সেটা কি কারণে। সেট-পিস আমাদের কিছু সমস্যা করেছিল। কিন্তু আমরা ভালোভাবে রক্ষণ সামলেছিলাম। দ্বিতীয়ার্ধে আরও ভালো খেলেছি। গোল করেছি। এরপর কিছু সুযোগ তৈরি করেছি। ছেলেরা যেভাবে জিতেছে আমি খুশি। ক্লিনশিট নিয়ে ফেরাটা খুশির।”
জামাল জানালেন থাইল্যান্ডে করা ১০ দিনের ক্যাম্প দলের কাছে এসেছে।
“ক্যাম্পের দরকার ছিল। দলে নতুন প্লেয়ার ঢুকেছিল তিন-চারজন। কম্বিনেশনটা ঠিক ছিল না। এগুলো নিয়ে নার্ভাসনেস ছিল। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা সেগুলো কাটিয়ে উঠেছি।”
লাওস ম্যাচে গোলদাতা রবিউলকে আলাদাভাবে প্রশংসা করে তাকে আরও উন্নতির তাগিদও দিয়েছেন কোচ।
“বাংলাদেশের একজন দারুণ খেলোয়াড় হওয়ার সম্ভবানা আছে রবিউলের এবং তাকে এটা উপলব্ধি করা দরকার। এই ধারাবাহিকতার মধ্যে তাকে থাকতে হবে। এজন্য তাকে আরও উন্নতি করতে হবে-যথেষ্ট করেছি, এটা তার ভাবা ঠিক হবে না।”