পর্তুগালের গিমারাইসে বৃহস্পতিবার রাতে দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে ৩-১ গোলে জিতেছে নেদারল্যান্ডস। প্রথমার্ধে মার্কাস র্যাশফোর্ডের গোলে ডাচরা পিছিয়ে পড়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে সমতা টানেন মাটাইস ডি লিখট।
এই নিয়ে পঞ্চমবারের মতো প্রতিযোগিতামূলক টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলতে যাচ্ছে ১৯৮৮ সালের ইউরো চ্যাম্পিয়নরা।
আগামী রোববার পোর্তোয় প্রতিযোগিতাটির অভিষেক আসরের শিরোপা লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে পর্তুগাল ও নেদারল্যান্ডস। বুধবার প্রথম সেমি-ফাইনালে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর হ্যাটট্রিকে সুইজারল্যান্ডকে একই ব্যবধানে হারায় বর্তমান ইউরোপ চ্যাম্পিয়নরা।
এর মাঝে ৩২তম মিনিটে র্যাশফোর্ডের সফল স্পট কিকে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। ডি-বক্সে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এই ফরোয়ার্ডকে আয়াক্স ডিফেন্ডার ডি লিখট ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।
জাতীয় দলের হয়ে ২১ বছর বয়সী র্যাশফোর্ডের এটি ৩২ ম্যাচে সপ্তম গোল। এর মধ্যে চারটি গোল করেছেন শেষ সাত ম্যাচে।
বিরতির পরও প্রতিপক্ষের রক্ষণে চাপ ধরে রাখা নেদারল্যান্ডস ৭৩তম মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায়। মেমফিস ডিপাইয়ের কর্নারে সবার উপরে লাফিয়ে হেডে দলকে সমতায় ফেরান ডি লিখট।
৮৩তম মিনিটে জেসি লিনগার্ড জালে বল পাঠালে উল্লাসে মাতে ইংল্যান্ড। কিন্তু ভিএআরের সাহায্য নিয়ে অফসাইডের বাঁশি বাজান রেফারি। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।
৯৭তম মিনিটে ডি-বক্সের ঠিক বাইরে ডিফেন্ডার জন স্টোনস বল ক্লিয়ার না করে সময় নষ্ট করলে তার পা থেকে বল কেড়ে নিয়ে শট নেন ডিপাই। ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড; কিন্তু বিপদমুক্ত করতে পারেননি। ছুটে এসে কুইন্সি প্রোমেসের শটে বল কাইল ওয়াকারের পায়ে লেগে জালে জড়ায়।
১১৪তম মিনিটে ডাচদের তৃতীয় গোলেও যথেষ্ট দায় ছিল ম্যানচেস্টার সিটির ডিফেন্ডার স্টোনসের। বল বিপদমুক্ত না করে তিনি ডি-বক্সের মুখে সতীর্থ রস বার্কলিকে পাস দেন! চেলসির এই মিডফিল্ডার আবার অবাক করে দিয়ে ডি-বক্সেই বল বাড়ান আর তা ধরে পেনাল্টি স্পটের কাছে বাড়ান ডিপাই। জোরালো শটে ফাঁকা জালে বল পাঠিয়ে জয় নিশ্চিত করেন সেভিয়ার ফরোয়ার্ড প্রোমেস।
শিরোপা লড়াইয়ের দিনেই তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড।