ঘরোয়া ডাবল জয়ের লক্ষ্যে শনিবার বাংলাদেশ সময় রাত একটায় কোপা দেল রের ফাইনালে ভালেন্সিয়ার মুখোমুখি হবে লা লিগা চ্যাম্পিয়নরা। শুক্রবার বার্সেলোনার হয়ে চার বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো সংবাদ সম্মেলনে এসে মেসি জানান ক্লাব পর্যায়ে ইউরোপ সেরা প্রতিযোগিতার সেমি-ফাইনালে শক্ত অবস্থানে থেকেও ছিটকে পড়ার ঘটনা এখনও ভুলতে পারেননি তিনি।
লিভারপুলের বিপক্ষে শেষ চারের প্রথম লেগে ঘরের মাঠে ৩-০ গোলে জেতার পর অ্যানফিল্ডে ফিরতি দেখায় ৪-০ ব্যবধানে হেরে বিদায় নেয় কাতালান ক্লাবটি।
“ওই হারে আমরা খুব বড় ধাক্কা খেয়েছিলাম। কোপা দেল রে জিতে মৌসুম শেষ করাটা হবে সবচেয়ে ভালো উপায়।”
“দলের অবস্থা ছিল শোচনীয়। এটা পুরো মৌসুমের উপরই দাগ কেটেছিল। এমনটা একবার হতে পারে (রোমার বিপক্ষে গত আসরেও ঘরের মাঠে বড় জয়ের ফিরতি পর্বে হেরে বিদায় নিয়েছিল বার্সেলোনা)। কিন্তু কখনোই তা পরপর দুবছর ঘটতে পারে না- যখন আপনার ইউরোপিয়ান ফাইনালে ওঠার সুযোগ আছে।”
অ্যানফিল্ডে দ্বিতীয়ার্ধে চরম বাজে পারফরম্যান্সের জন্য সমর্থকদের কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন আর্জেন্টাইন তারকা।
“লিভারপুলের মাঠে দ্বিতীয়ার্ধের জন্য আমাদের ক্ষমা চাইতে হবে (দুই লেগ মিলে ৪-৩ ব্যবধানে হারের লড়াইয়ে ওই অর্ধে তিন গোল খেয়েছিল বার্সেলোনা। ম্যাচের ফলের জন্য নয়, বরং যেমনটা বোঝাচ্ছে যে আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করিনি। আমার ক্যারিয়ারে এটা অন্যতম বাজে অভিজ্ঞতা।”
বার্সেলোনা ছাড়ার বিষয়ে ভাবছেন কিনা-এ প্রশ্নের জবাবে মেসি বলেন, “না, না, না। জাতীয় দলে আমার কিছু সমস্যা ছিল এবং এখনও আমি সেখানে কিছু জিততে চাই। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে পড়ার কারণে আমার এখানে থাকতে চাওয়ায় কোনো কমতি আসেনি।”
আসছে ফাইনালে ভালেন্সিয়ার বিপক্ষে বার্সেলোনা জিতলে মেসির ভাণ্ডারে যোগ হবে সপ্তম কোপা দেল রে ও সব মিলিয়ে ২১তম বড় শিরোপা।