বার্সেলোনা ভিত্তিক সংবাদপত্র স্পোর্ত একটি কালো ক্যানভাসের উপর লিখেছে, “সর্বকালের সবচেয়ে বড় বিব্রতকর হার”। সঙ্গে আরও লিখেছে, “বার্সা তাদের ইতিহাসের সবচেয়ে কালো অধ্যায়টি লিখেছে”।
কাম্প নউয়ে সেমি-ফাইনালের প্রথম লেগে ৩-০ ব্যবধানে জিতেছিল বার্সেলোনা। কিন্তু মঙ্গলবার রাতে ফিরতি পর্বে ম্যাচের শুরু থেকেই দিক হারানো দলটিকে ৪-০ গোলে হারিয়ে দুই লেগ মিলে ৪-৩ ব্যবধানে এগিয়ে ফাইনালের টিকেট নিশ্চিত করে লিভারপুল।
ক্রীড়া পত্রিকা মার্কা লিখেছে, “এক ঐতিহাসিক পরাজয়”। কারণ হিসেবে তারা লিখেছে, সবই ছিল বার্সেলোনার পক্ষে।
“তারা ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল, লিভারপুলের তারকারা চোটগ্রস্ত ছিল, লিগ জয় আগেই সারা হয়েছিল, ফাইনাল মাদ্রিদে, রিয়াল মাদ্রিদ এরই মধ্যে ছিটকে গেছে এবং তাদের দলে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় ছিল।”
কাতালান পত্রিকা মুন্দো দেপোর্তিভোও এটাকে ‘বিব্রতকর’ বলেছে এবং বিশেষ করে চতুর্থ গোলটি হজম করা নিয়ে ভালভেরদের দলের কড়া সমালোচনা করেছে। ৭৯তম মিনিটে ট্রেন্ট অ্যালেকজান্ডার-আর্নল্ডের আচমকা নেওয়া কর্নারে বল ফাঁকায় পেয়ে জোরালো শটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন বেলজিয়ান ফরোয়ার্ড দিভোক ওরিগি।
পত্রিকাটি তাদের কাভার স্টোরিতে লিখেছে, “কর্নার থেকে হাস্যকর একটা গোল হজম করাটা দিয়েই দলটাকে মনে রাখা হবে, যারা রোমের ভুলগুলোর পুনরাবৃত্তি করল।”
হৃদয়ভাঙা এই পরাজয়ের পর সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন লুইস সুয়ারেস ও সের্হিও বুসকেতস। ক্ষমা চেয়েছেন কোচ ভালভেরদেও। তবে দলকে টানা দুবার লা লিগা জেতালেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ব্যর্থতার কারণে অনেকেই কাম্প নউয়ে তার শেষ দেখছেন।
“নিঃসন্দেহে এই বিপর্যয়ের অনেক দায় ভালভেরদে নিচ্ছেন কারণ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার মুহূর্তে তিনি গত বছরের মতো একই ভুল করেছেন।”
সমালোচনা এড়াতে পারেনি খেলোয়াড়রাও। মার্কা তিনের মধ্যে বার্সেলোনা একাদশের সাত খেলোয়াড়কে শূন্য দিয়েছে! চার জন পেয়েছে এক।
আর স্পোর্ত খেলোয়াড়দের মূল্যায়নে কাউকেই ১০ এর মধ্যে ৩-এর বেশি দেয়নি। ইভান রাকিতিচ ও ফিলিপে কৌতিনিয়োকে তারা দিয়েছে শূন্য।