অ্যানফিল্ডে মঙ্গলবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমি-ফাইনালের ফিরতি লেগে ৪-০ গোলে জিতে দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৩ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে ফাইনালে ওঠে লিভারপুল। প্রথম লেগে কাম্প নউয়ে ৩-০ গোলে হেরেছিল ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দলটি।
লিভারপুলের জয়ে দুটি করে গোল করেন দিভোক ওরিগি ও ভেইনালডাম। বার্সেলোনার বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়ের পর ২৮ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার জানালেন কিভাবে অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন তারা।
“স্পেনের ম্যাচের পর আমরা আত্মবিশ্বাসী ছিলাম যে চার গোল করতে পারব এবং ৪-০ ব্যবধানে জিততে পারব।”
“বাইরের লোকেরা আমাদের সামর্থ্যে সন্দেহ করেছিল। তারা ভেবেছিল আমরা এটা করতে পারব না। কিন্তু আরও একবার আমরা দেখালাম ফুটবলে সবকিছুই সম্ভব।”
চোটের কারণে অ্যান্ড্রু রবার্টসনের বদলি হিসেবে দ্বিতীয়ার্ধে নামেন ভেইনালডাম। জোড়া গোল করে তিনিই এখন দলের জয়ের অন্যতম নায়ক।
“আমি খুব ক্ষুব্ধ ছিলাম যে, কোচ আমাকে বেঞ্চে বসিয়ে রেখেছেন। আমি শুধু দলকে সাহায্য করার চেষ্টা করেছিলাম। দুই গোল দিয়ে সেটা করতে পেরে আমি খুশি।”
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো শেষ চারের প্রথম লেগে তিন গোলের ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে ফাইনালে ওঠার কীর্তি গড়লো লিভারপুল।
আগামী ১ জুন মাদ্রিদের ওয়ান্দা মেত্রোপলিতানোতে হবে ফাইনাল। সেখানে দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে টটেনহ্যাম হটস্পার ও আয়াক্সের মধ্যে বিজয়ীদের মুখোমুখি হবে গতবারের রানার্সআপ লিভারপুল।