অ্যানফিল্ডে মঙ্গলবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমি-ফাইনালের ফিরতি লেগে ৪-০ গোলে হেরে দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৩ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে ছিটকে যায় বার্সেলোনা। প্রথম লেগে কাম্প নউয়ে ৩-০ গোলে জিতেছিল লা লিগা চ্যাম্পিয়নরা।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গত মৌসুমে কোয়ার্টার-ফাইনালে দ্বিতীয় লেগে হেরে বিদায় নিয়েছিল বার্সেলোনা। এবার ঝরে পড়ল সেমি-ফাইনাল থেকে। তবে হতাশ ভালভেরদে দলের ব্যর্থতার দায় দিচ্ছেন না শিষ্যদের।
“আমি জানি না এটা (এই হার) কিভাবে আমাকে প্রভাবিত করবে। কোচকেই দায় নিতে হবে।”
“এটা আমাদের জন্য খুবই পীড়াদায়ক। বিশেষ করে আমাদের সমর্থকদের জন্য; এ নিয়ে দ্বিতীয় বছর তারা এভাবে বাড়ি ফিরছে।”
প্রথমার্ধে এক গোল খাওয়া বার্সেলোনা দ্বিতীয়ার্ধে হজম করে আরও তিনটি। তবে কোনো গোলের জন্যই কারো দিকে অভিযোগের আঙুল তুলছেন না ভালভেরদে।
“গোল সবসময় কারো না কারোর ভুলে হয়। যদি আপনি যে কোনো গোল দেখেন; দেখবেন সেখানে একটা ভুল আছে।”
৭৯তম মিনিটে কর্নার পেয়েছিল লিভারপুল। গোলরক্ষক মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেনসহ বার্সেলোনার রক্ষণভাগ তখনও ঠিক প্রস্তুত ছিল না, কিন্তু রেফারির বাঁশি শুনে আচমকা শট নেন ট্রেন্ট অ্যালেকজান্ডার-আর্নল্ড আর জোরালো শটে বল ঠিকানায় পাঠান ওরিগি। এই গোল নিয়েও তেমন একটা অভিযোগ নেই ভালভেরদের।
“তারা চতুর্থ গোল দিয়ে আমাদের বিস্মিত করেছে। সম্ভবত আমার খেলোয়াড়েরা বিষয়টা খেয়াল করেনি। লিভারপুল ছিল চতুর এবং তারা গোল করেছে।”
“দুটি দ্রুত গোলে বিষয়গুলো আমাদের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গিয়েছিল। আমরা স্কোরশিটে নাম তুলতে পারিনি।”
“এটা আমাদের এবং আমাদের সমর্থকদের জন্য ভয়ঙ্কর ফল। এটা আসলেই ভীষণ দুর্ভাগ্যজনক। কিন্তু কৃতিত্ব লিভারপুলের। আমরা একটু গভীরভাবে থিতু হওয়ার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু আমাদের জন্য ম্যাচটা শেষ হয়ে গেলো চতুর্থ গোলে। আমরা সাড়া দিতে পারিনি।”
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো শেষ চারের প্রথম লেগে তিন গোলের ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে ফাইনালে ওঠার কীর্তি গড়লো লিভারপুল।