টটেনহ্যামের মাঠে জিতে ফাইনালে এক পা আয়াক্সের

প্রথমার্ধের গোলে ম্যাচে চালকের আসনে বসে যাওয়া আয়াক্স শেষ পর্যন্ত টটেনহ্যাম হটস্পারের মাঠ থেকে জয় নিয়ে ফিরেছে। দারুণ এই জয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে এক পা দিয়েছে নেদারল্যান্ডসের দলটি।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 April 2019, 09:03 PM
Updated : 30 April 2019, 09:08 PM

প্রতিপক্ষের মাঠে মঙ্গলবার রাতে সেমি-ফাইনালের প্রথম লেগে ১-০ গোলে জিতে আয়াক্স। আগামী ৮ মে হবে ফিরতি লেগের খেলা। প্রথমবারের মতো ইউরোপ সেরা আসরের ফাইনালে উঠতে আয়াক্সের মাঠে মাওরিসিও পচেত্তিনোর দলকে জিততে হবে কমপক্ষে ২-১ গোলের ব্যবধানে।

শুরুর দিকে দুই দলই বলের নিয়ন্ত্রণ রেখে খেলায় ছিল মনোযোগী। পঞ্চদশ মিনিটে পাওয়া প্রথম ভালো সুযোগটি কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যায় ১৯৯৪-৯৫ মৌসুমে সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা আয়াক্স।

হাকিমের বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দেখেশুনে লক্ষ্যভেদ করেন ফন দে বেক। ২১ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড অফসাইডে ছিলেন কিনা ভিএআরের সাহায্যে দেখে গোলের বাঁশি বাজান রেফারি।

ইউভেন্তুসের বিপক্ষে কোয়ার্টার-ফাইনালের ফিরতি লেগে আয়াক্সের ২-১ ব্যবধানে জেতা ম্যাচেও এক গোল করেছিলেন ফন দে বেক।

চোটের কারণে আগে থেকেই টটেনহ্যামের আক্রমণভাগে ছিলেন না হ্যারি কেইন। ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে কোয়ার্টার-ফাইনালে দুই লেগ মিলিয়ে তিন গোল করা সন হিউং-মিনকেও কার্ডের নিষেধাজ্ঞায় এ ম্যাচে পায়নি ইংল্যান্ডের দলটি। ফলে তাদের খেলায় ছিল না আক্রমণের ধার।

প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে সতীর্থের ফ্রি কিকে টবি আল্ডারভাইরেল্ডের হেড ওপরের জাল কাঁপায়। মুসা সিসোকোর দূরপাল্লার শটও টটেনহ্যামকে এনে দিতে পারেনি সমতাসূচক গোল।

৫৭তম মিনিটে টটেনহ্যামের ডেলে আলির হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৭৯তম মিনিটে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড দাভিদ নেরেসের শট দূরের পোস্টে লেগে ফিরলে ব্যবধান দ্বিগুণ হয়নি।