বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আগামী মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টায় প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে মুখোমুখি হবে দুই দল। সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ২-০ এবং কিরগিজস্তানকে ২-১ গোলে হারিয়ে ‘বি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেরা চারে উঠেছে বাংলাদেশ। তাজিকিস্তানকে ৩-০ গোলে হারিয়ে আর লাওসের কাছে ৫-০ গোলে হেরে ‘এ’ গ্রুপের রানার্সআপ হয় মঙ্গোলিয়া।
গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের দেওয়া চার গোলের দুটি কৃষ্ণার এবং একটি স্বপ্নার। অন্য গোলটি সানজিদা আক্তারের। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে কৃষ্ণা-স্বপ্নাকে না পাওয়া দলের জন্য বড় ধাক্কা। এ দুজনের জায়গা তহুরা খাতুন ও সাজেদা খাতুনকে দিয়ে পুরণের ইঙ্গিত দিয়েছেন রব্বানী।
“সাজেদা, তহুরা ভালো খেলছে। তাদের নামার সম্ভাবনা আছে। এই মেয়েদের দিয়েই ভালো খেলা এবং বড় ব্যবধানে জেতা সম্ভব।”
“মেয়েদের যার যার দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা নিজেরা নিজেদের খেলা খেলব। ভুলত্রুটিগুলো সংশোধনের চেষ্টা চলছে। ওই জায়গাগুলো যাতে আরও ভালো হয় সেভাবেই খেলার চেষ্টা থাকবে।”
শারীরিক শক্তিতে এগিয়ে থাকা মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে খেলার কৌশল ঠিক করার কথাও জানান বাংলাদেশ।
মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে এই প্রথম খেলবে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ সম্পর্কে তাই তেমন একটা জানাশোনা নেই মৌসুমী-মার্জিয়াদের। অধিনায়ক মিশরাত জাহান মৌসুমী জানালেন দলটির গত দুটি ম্যাচ থেকে তারা ধারণা পেয়েছেন।
“মঙ্গোলিয়া আমাদের জন্য ভিন্ন প্রতিপক্ষ। ওদের সঙ্গে আগে না খেলার ফলে ওদের সম্পর্কে আমাদের তেমন ধারণা নেই। কোচেরা মঙ্গোলিয়ার গ্রুপপর্বের দু’টি খেলা মাঠে দেখেছেন। তারাই আমাদের মঙ্গোলিয়া সম্পর্কে ধারণা দিয়েছেন। আমরাও ওই দুটি ম্যাচ দেখেছিলাম টিভিতে।”
কিরগিজস্তান ম্যাচে স্বপ্নার বদলি নামা মার্জিয়া আলো ছড়িয়েছিলেন। সেমি-ফাইনাল সামনে রেখে এই মিডফিল্ডার দিলেন কোচের প্রত্যাশা পূরণের প্রতিশ্রুতি।
“আমরা যে যখন মাঠে নামি, তখন সর্বোচ্চটা দিয়ে খেলার চেষ্টা করি। যদি একাদশে সুযোগ পাই, তাহলে নিজের সেরাটা দিয়ে খেলার চেষ্টা করব। মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে যে ১১ জন মাঠে নামব, সেরাটা দিয়েই তাদের হারাব।”
মঙ্গোলিয়া কোচ কাওয়োতো নাকামোতো বাংলাদেশকে সমীহ করে দেখছেন জয়ের স্বপ্ন।
“আক্রমণে বাংলাদেশ শক্তিশালী। তবে আমরাও সুযোগ পাব। আমাদেরও জয়ের সুযোগ আছে।”