সাত গোলের ম্যাচে শেখ জামালকে হারাল আবাহনী

শুরুতে পিছিয়ে পড়ার পর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়াল আবাহনী লিমিটেড। শেষ দিকের দুই গোলে ম্যাচ জমিয়ে তুলেছিল শেখ জামাল ক্রীড়া চক্রও। সাত গোলের রোমাঞ্চ ছড়ানো ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত জিতেছে আবাহনী।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 April 2019, 01:41 PM
Updated : 13 April 2019, 02:03 PM

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শনিবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে ৪-৩ গোলে জিতে আবাহনী। ১২ ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে তারা। এক পয়েন্ট বেশি নিয়ে শীর্ষে আছে এক ম্যাচ কম খেলা বসুন্ধরা কিংস।

প্রথম মিনিটেই এগিয়ে যায় শেখ জামাল। কিক অফের পর সানডে চিজোবার ভুল পাস থেকে বল ধরে সলোমন কিংস লম্বা করে বাড়ান সাখাওয়াত হোসেন রনিকে। এই ফরোয়ার্ডের ক্রসে গোঁড়ালির টোকায় লক্ষ্যভেদ করেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড লুসিয়ানো এমানুয়েল পেরেস।

দশম মিনিটে নাবীব নেওয়াজ জীবনের ফ্রি-কিকে আফগানিস্তানের ফরোয়ার্ড মাসিহ সাইঘানি হেডে সমতায় ফেরান আবাহনীকে। ২৭তম মিনিটের আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় দলটি। রায়হান হাসানের লম্বা থ্রো ইন হেডে বিপদমুক্ত করতে গিয়ে নিজেদের জালে জড়িয়ে দেন ডিফেন্ডার মাঞ্জুর রহমান মানিক।

একটু পর ব্যবধান বাড়ানোর ভালো সুযোগ নষ্ট হয় আবাহনীর। সতীর্থের ক্রসে চিজোবা পা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হলে বল পেয়ে যান পাশেই থাকা জীবন। কিন্তু তার দুর্বল প্রচেষ্টা সহজে আটকে দেন গোলরক্ষক।

৩৬তম মিনিটের সময় ঝড় শুরু হলে খেলা বন্ধ করে দেন রেফারি। এক ঘণ্টা ১৭ মিনিট পর ফের খেলা মাঠে গড়ানোর পর পরই আবাহনীর জীবনের শট পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়।

৫৭তম মিনিটে সলোমন কিংয়ের ফ্রি-কিক ঝাঁপিয়ে পড়ে ফেরান আবাহনী গোলরক্ষক শহীদুল আলম সোহেল। ছয় মিনিট পর চিজোবার থেকে পাওয়া বল নিখুঁত শটে নাইমের মাথার ওপর দিয়ে স্কোরলাইন ৩-১ করেন হাইতির ফরোয়ার্ড কেরভেন্স ফিলস বেলফোর্ট।

৭০তম মিনিটে চিজোবার হেড করে বাড়ানো বল গোলমুখ থেকে অনায়াসে লক্ষ্যভেদ করেন জীবন। লিগে এই ফরোয়ার্ডের গোল হলো ৮টি।

নয় মিনিট পর সেইনে বোজানের শট শহীদুল ফেরালেও পুরোপুরি বিপদমুক্ত করতে পারেননি। ফিরতি শটে ব্যবধান কমান জাকির হোসেন জিকু। ৯০তম মিনিটে এই মিডফিল্ডার আবারও লক্ষ্যভেদ করে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত লিগে আবাহনীর টানা চতুর্থ এবং সব মিলিয়ে দশম জয় আটকাতে পারেনি শেখ জামাল।

নোয়াখালীর শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামে শনিবার অন্য ম্যাচে অবনমন অঞ্চলে থাকা টিম বিজেএমসি ও ব্রাদার্স ইউনিয়ন গোলশূন্য ড্র করে। ১১ ম্যাচে ব্রাদার্সের পয়েন্ট ৫, বিজেএমসির পয়েন্ট ৪।