কুর্মিটোলা গলফ কোর্সে শনিবার শেষ রাউন্ডে ভারতের অজিতেশ সান্ধু ও রশিদ খানের সঙ্গে সাদোম কায়েওকানজানার লড়াই দারুণ জমেছিল। পারের চেয়ে ১৯ শট কম খেলে শেষ পর্যন্ত সেরা হয়েছেন থাইল্যান্ডের গলফারই। পারের চেয়ে ১৮ শট কম নিয়ে অজিতেশ দ্বিতীয় ও ১৭ শট কম নিয়ে রশিদ তৃতীয় হয়েছেন।
এ নিয়ে দেশের কোর্সে হওয়া এশিয়ান ট্যুরের এই প্রতিযোগিতার পাঁচ আসরেই সেরা হলো বিদেশিরা। দেশি গলফারদের মধ্যে সিদ্দিকুরের ২০১৭ সালে রানার্সআপ হওয়াই সেরা সাফল্য হয়ে থাকল। শেষ রাউন্ডে নিজেকে মেলে ধরতে ব্যর্থ হওয়ায় সিদ্দিকুর দুঃখ প্রকাশ করলেন সমর্থকদের কাছে।
“অবশ্যই আমি হতাশ। আমি নিজেদের দুর্ভাগাও বলব। শুরুটা ভালো ছিল। পরের হোলে বার্ডি করলাম। তারপরও ভাগ্য সহায় হলো না। তবে এটাই শেষ নয়। ভবিষ্যতে আরও প্রতিযোগিতায় খেলব। সেখানে আশা করছি সাফল্য পাব।”
“আমি দুঃখিত যে আপনাদের যে আশা ছিল, পূরণ করতে পারিনি। আসলে মানসিকভাবে কোনো ত্রুটি ছিল না। এখানে তো আমার হাত নেই। সেরাটা দিয়েছি। আজ হয়নি। প্রথম তিন দিন অনেক ভালো খেলেছি। আশাবাদী ছিলাম। শেষ রাউন্ডটা ভালো হবে। ভালো পজিশনে থাকবো। সেটা হয়নি। এটাই হয়তো নিয়তি।”
সাড়ে তিন লাখ ডলার প্রাইজমানির এই আসরে শেষ রাউন্ডে ছয়টি বার্ডি করা জামাল হোসেন সব মিলিয়ে পারের চেয়ে নয় শট কম খেলে যৌথভাবে দশম হয়েছেন। যৌথভাবে ২৪তম স্থানে থেকে চতুর্থ রাউন্ড শুরু করা জামালই দেশি গলফারদের মধ্যে সবচেয়ে উজ্জ্বল। তবে নিজের পারফরম্যান্সে হতাশ তিনি।
“জেতার জন্য এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলাম। আসলে প্রথম ও তৃতীয় রাউন্ডে খারাপ খেলার কারণে পিছিয়ে পড়ি। আমি এই ফলে সন্তুষ্ট না।”
আগের রাউন্ডে যৌথভাবে সপ্তম স্থানে থাকা আকবর হোসেন চতুর্থ রাউন্ডে পারের চেয়ে দুই শট বেশি খেলেছেন। সব মিলিয়ে পারের চেয়ে সাত শট কম নিয়ে যৌথভাবে ১৫তম হয়েছেন তিনি। পারের চেয়ে সাত শট কম খেলেছেন স্থানীয় আরেক গলফার সজীব।
পাঁচ শট কম খেলে মোহাম্মদ নাজিম যৌথভাবে ২৫তম, চার শট কম খেলে বাদল হোসেন যৌথভাবে ৩১তম, দুই শট কম খেলে মুহাম্মদ মুয়াজ যৌথভাবে ৩৫তম হয়েছেন।
দেশি গলফারদের মধ্যে শাখাওয়াত সোহেল পারের চেয়ে ছয় শট বেশি, মোহাম্মদ সাইয়ুম ও নুর জামাল আট শট বেশি, মোহাম্মদ শাহ আলম নয় শট বেশি ও দিল মোহাম্মদ ১০ শট বেশি খেলে এবারের আসর শেষ করেছেন।