মেসির সমালোচনার কারণ জানতে চায় ছেলে তিয়াগো

বার্সেলোনার হয়ে ক্যারিয়ারে পেয়েছেন অনেক সাফল্য, বর্ষসেরা ফুটবলার হয়েছেন পাঁচবার। কিন্তু নিজ দেশে বার বার সমালোচনার মুখে পড়েছেন আর্জেন্টিনার তারকা ফরোয়ার্ড লিওনেল মেসি। দীর্ঘ সময় বড় কোনো শিরোপা জিততে না পারার ব্যর্থতার দায় তার কাঁধে চাপানো হয়েছে। ৬ বছরের ছেলে তিয়াগো পর্যন্ত বাবার এমন সমালোচনার কারণ জিজ্ঞাসা করে বলে জানিয়েছেন মেসি নিজেই। 

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 March 2019, 10:43 AM
Updated : 30 March 2019, 10:43 AM

১৯৯৩ সালে কোপা আমেরিকা জয়ের পর আর কোনো বড় প্রতিযোগিতায় শিরোপার মুখ দেখেনি আর্জেন্টিনা। দেশের হয়ে চারটি ফাইনাল খেলে কোনো শিরোপা জিততে পারেননি ৩১ বছর বয়সী মেসি। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে ২০০৭ সালে কোপা আমেরিকার ফাইনালে ব্রাজিলের কাছে হার দিয়ে শুরু। ২০১৪ সালে বিশ্বকাপের ফাইনালে জার্মানির কাছে হারের পর ২০১৫ ও ২০১৬ সালে কোপা আমেরিকার দুটি ফাইনালেই চিলির কাছে টাইব্রেকারে হারে আর্জেন্টিনা। চলতি বছরের জুনে ব্রাজিলে হতে যাওয়া কোপা আমেরিকায় দেশের হয়ে শিরোপা জয়ের আরেকটি সুযোগ পাচ্ছেন মেসি।

জাতীয় দলের হয়ে নিজের সর্বোচ্চটাই দিতে চান বলে এক রেডিও সাক্ষাৎকারে জানান বার্সেলোনার হয়ে চলতি মৌসুমে দারুণ ছন্দে থাকা মেসি।

“আমি আর্জেন্টিনার হয়ে কিছু জিততে চাইব। সব গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতাতেই আমি খেলব।”

“অনেক মানুষই বলছিল যে বিশ্বকাপের পর আমার আর ফেরা উচিত নয়। এমনকি আমার ছয় বছরের ছেলে তিয়াগো আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিল যে কেন আর্জেন্টিনায় তারা আমার কঠোর সমালোচনা করে।”

চলতি মাসে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ দিয়ে প্রায় আট মাস পর আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফেরেন মেসি। ম্যাচটি ৩-১ গোলে হারে দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। ম্যাচ শেষে আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন অধিনায়কের কুঁচকিতে ব্যথা অনুভব করার কথা জানায়। এজন্য গত মঙ্গলবার মরক্কোর বিপক্ষে পরের প্রীতি ম্যাচে খেলেননি তিনি। বুধবার বার্সেলোনার অনুশীলনে যোগ দিলে আবারও দেশের প্রতি তার আত্মনিবেদন নিয়ে প্রশ্ন তোলে সমালোচকরা। এসব সমালোচনা ভিত্তিহীন বলে জানান মেসি।

“তারা আমাকে নিয়ে যা বলে তা শুনতে আমি অভ্যস্ত। আমার সম্পর্কে তারা সবসময় মিথ্যা বলে। কোনোকিছুই আমাকে বিস্মিত করে না।”

“অনেক মিথ্যা বলা হয় এবং তা আমাকে ক্ষুব্ধ করে কারণ তারা যা বলে মানুষ তাই বিশ্বাস করে। যে কেউ যে কোনো কিছু বলতেই পারে। মানুষ এটা বিশ্বাস করে এবং দিনশেষে আমিই খারাপ।”

“সত্যিটা হলো এই, শীতকালীন বিরতির আগে পাওয়া মাংসপেশির টান নিয়েই আমি আন্তর্জাতিক বিরতিতে গিয়েছিলাম। কুঁচকির চোটটা বেশ জটিল। আমি আগের চেয়ে ভালো অনুভব করছি, কিন্তু নিজের খেয়াল আমাকে রাখতেই হবে।”