নাটকীয় জয়ে ডাচদের বিপক্ষে জার্মানির প্রতিশোধ

দুর্দান্ত এক জয়ে ব্যর্থতার গণ্ডি থেকে বেরিয়ে আসার আভাস দিয়েছে জার্মানি। প্রথমার্ধে দুই গোলে পিছিয়ে পড়ার পর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল নেদারল্যান্ডস। তবে শেষ মুহূর্তের গোলে মধুর প্রতিশোধ নিয়েছে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 March 2019, 09:40 PM
Updated : 24 March 2019, 10:38 PM

আমস্টারডামে ইয়োহান ক্রুইফ অ্যারেনায় রোববার রাতে ‘সি’ গ্রুপে ৩-২ গোলে জিতে সবশেষ ২০১৪ সালে বিশ্বকাপ জয়ীরা। গত অক্টোবরে এই মাঠেই উয়েফা নেশন্স লিগে ডাচদের কাছে ৩-০ গোলে হেরেছিল ইওয়াখিম লুভের দল।

লেরয় সানে ও সের্গে জিনাব্রির গোলে নেদারল্যান্ডস পিছিয়ে পড়ার পর সমতা টানেন মাটাইস ডি লিখট ও মেমফিস ডিপাই। শেষ দিকে জার্মানির জয়সূচক গোলটি করেন নিকো শুলজ।

ম্যাচের শুরু থেকে প্রতিপক্ষকে চেপে ধরা জার্মানি পঞ্চদশ মিনিটে এগিয়ে যায়। টনি ক্রুসের পাস পেয়ে দ্রুত ছুটে ডি-বক্সে বল বাড়ান মিডফিল্ডার শুলজ। ডি-বক্সে স্বাগতিকদের তরুণ প্রতিভাবান ডিফেন্ডার ডি লিখট পড়ে গেলে বল ধরে একটু এগিয়ে বাঁ পায়ের কোনাকুনি শটে দূরের পোস্ট দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন ম্যানচেস্টার সিটির ফরোয়ার্ড লেরয় সানে।

২৫তম মিনিটে ডি-বক্সে ঢুকে গোলরক্ষককে একা পেয়েও হতাশ করেন রায়ান বাবেল। তার শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান মানুয়েল নয়ার। দুই মিনিট পর গোলরক্ষক বরাবর শট নিয়ে সমতা টানার আরেকটি সহজ সুযোগ নষ্ট করেন বেসিকতাসের এই মিডফিল্ডার।

৩৪তম মিনিটে দুর্দান্ত এক গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন জিনাব্রি। আন্টোনিও রডি রুডিগারের পাস ডি-বক্সে পেয়ে লিভারপুল ডিফেন্ডার ভার্জিল ফন ডাইককে কাটিয়ে কোনাকুনি উঁচু শটে জাল খুঁজে নেন বায়ার্ন মিউনিখ মিডফিল্ডার জিনাব্রি।

দ্বিতীয়ার্ধের তৃতীয় মিনিটে লড়াইয়ে ফেরে বেলারুশকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে বাছাইপর্ব শুরু করা নেদারল্যান্ডস। বাঁ দিক থেকে মেমফিস ডিপাইয়ের ক্রসে হেডে ব্যবধান কমান ডি লিখট। জাতীয় দলের হয়ে ১৯ বছর বয়সী এই খেলোয়াড়ের এটা প্রথম গোল।

৬৩তম মিনিটে নিজেদের ডি-বক্সে জার্মানির খেলোয়াড়রা বল বিপদমুক্ত করতে ব্যর্থ হলে নিচু শটে সমতা টানেন ডিপাই। বেলারুশের বিপক্ষে জোড়া গোল করেছিলেন লিভারপুলের এই মিডফিল্ডার।

৮৫তম মিনিটে জিনাব্রির শট দারুণ নৈপুণ্যে ঠেকিয়ে দেন স্বাগতিক গোলরক্ষক ইয়াসপের সিলেসেন। তবে চার মিনিট পর আর পারেননি। মার্কো রয়েসের কাটব্যাক পেনাল্টি স্পটের কাছে ফাঁকায় পেয়ে প্লেসিং শটে অসাধারণ এক জয় নিশ্চিত করেন শুলজ।     

বিশ্বসেরার মর্যাদায় রাশিয়া বিশ্বকাপে গিয়ে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেয় জার্মানি। পরে উয়েফা নেশন্স লিগে হয় অবনমন। ২০১৮ সালে নিজেদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ছয় ম্যাচে হারে তারা। গত বৃহস্পতিবার এ বছরের প্রথম ম্যাচেও সার্বিয়ার সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে লুভের দল। অবশেষে রোমাঞ্চকর এই জয়ে কক্ষপথে ফেরার আভাস দিল চারবার বিশ্বকাপ ও তিনবার ইউরো জয়ীরা।

গ্রুপের অন্য ম্যাচে ঘরের মাঠে বেলারুশকে ২-১ গোলে হারানো নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড দুই ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে।

দ্বিতীয় স্থানে থাকা নেদারল্যান্ডসের পয়েন্ট ৩। সমান পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে এক ম্যাচ খেলা জার্মানি।

‘আই’ গ্রুপে জয়ের ধারা ধরে রেখেছে বেলজিয়াম। এদেন আজার ও মিচি বাতসুয়াইয়ের গোলে সাইপ্রাসকে তাদেরই মাঠে ২-০ ব্যবধানে হারানো রবের্তো মার্তিনেসের দল দুই ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে।

কাজাখস্থানকে ৪-০ গোলে হারানো রাশিয়া ৩ পয়েন্ট নিয়ে আছে দ্বিতীয় স্থানে।