উদিনেজের দাসিয়া আরেনায় শনিবার রাতে ‘জে’ গ্রুপের ম্যাচে ২-০ গোলে জিতেছে ইতালি।
ঘরের মাঠে শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলা ইতালি এগিয়ে যায় সপ্তম মিনিটে। মার্কো ফেরাত্তির ফ্রি-কিক হেড করে বিপদমুক্ত করতে চেয়েছিলেন জুনা তোইভিয়ো। বল পেয়ে যান অরক্ষিত বারেল্লা। ডি-বক্সের বাইরে থেকে তার বুলেট গতির গড়ানো শট একজনের গায়ে লেগে জালে জড়ায়। পঞ্চম ম্যাচে এসে দেশের হয়ে নিজের প্রথম গোল করলেন ২২ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার।
ত্রয়োদশ মিনিটে ইউভেন্তুসের ১৯ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড কেনের নৈপুণ্যে দারুণ এক সুযোগ পায় ইতালি। তোইভিয়োকে পরাস্ত করে তিনি ডি-বক্সে খুঁজে নেন চিরো ইম্মোবিলেকে। তার চেষ্টা একটুর জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই ফিনল্যান্ডের রক্ষণে প্রবল চাপ তৈরি করে স্বাগতিকরা। ভীতি ছড়ান ইম্মোবিলে, জর্জিনিয়োরা। এর মাঝে প্রতি-আক্রমণ থেকে সমতা ফেরানোর চেষ্টায় ছিল অতিথিরা। তবে ফরোয়ার্ডদের বাজে ফিনিশিংয়ের জন্য কাজে আসেনি তাদের কোনো আক্রমণ।
৬৬তম মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড় হয়ে যায় ফিনল্যান্ডের। রবিন লডের ক্রস তিমো পাক্কিকে বিপজ্জনক জায়গায় খুঁজে পায়। গোল করার মতো জায়গায় থেকেও চেষ্টা লক্ষ্যে রাখতে পারেননি তিনি।
৭৫তম মিনিটে আন্তর্জাতিক ফুটবলে নিজের প্রথম গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কেন। ইম্মোবিলের ডিফেন্স চেরা পাস পেয়ে ঠাণ্ডা মাথায় জাল খুঁজে নেন তিনি। দেশের হয়ে দ্বিতীয় ম্যাচেই পেলেন জালের দেখা। ইউভেন্তুসের হয়ে সাত ম্যাচে তিন গোল করা এই তরুণ দেখালেন নিজের সামর্থ্য।
বাকি সময়ে জালের দেখা পায়নি কোনো দলই। শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলা ইতালি মাঠ ছাড়ে প্রাপ্য জয় নিয়ে।