ভারতের বিপক্ষে ডিফেন্ডারদের ভুল না করার প্রতিশ্রুতি

রোববার রাতে টিম হোটেলে কোচের প্রথম বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের সবাই। পরে আলাদা বৈঠক হয়েছে শুধু ডিফেন্ডারদের নিয়ে। সোমবার অনুশীলন শেষে ডিফেন্ডার আঁখি খাতুনও জানালেন, নেপালের বিপক্ষে ম্যাচে করা ভুলগুলো তাদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে ভালোভাবে। প্রতিশ্রুতি দিলেন সেমি-ফাইনালে ভুলের পুনরাবৃত্তি না করার।

মোহাম্মদ জুবায়েরমোহাম্মদ জুবায়েরনেপালের বিরাটনগর থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 March 2019, 01:21 PM
Updated : 19 March 2019, 11:59 AM

আগামী বুধবার নেপালের বিরাটনগরের শহীদ রঙ্গসালা স্টেডিয়ামে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। গতবার ফাইনালে ভারতের কাছে হেরেই শিরোপা স্বপ্ন গুঁড়িয়েছিল আখিঁ-সাবিনাদের।

২০ জনের দলে ডিফেন্ডার ছয় জন। শিউলি আজিম, শামসুন্নাহার সিনিয়র, আঁখি খাতুন, মাসুরা পারভীন, নিলুফা ইয়াসমিন নীলা ও নার্গিস খাতুন। গ্রুপ পর্বে ভুটানের বিপক্ষে ২-০ গোলে জেতা ম্যাচে ডিফেন্ডারদের তেমন কোনো পরীক্ষায় পড়তে হয়নি। কিন্তু নেপালের কাছে ৩-০ গোলে হেরে যাওয়া ম্যাচের পুরো দায় তাদের কাঁধে দিয়েছেন কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন।

একের পর এক ভুল করে নেপাল ম্যাচে শুরুর ২৮ মিনিটে তিন গোল হজম করেছিল দল। আত্মঘাতী গোল করার পর দ্বিতীয় গোলেও ভুল ছিল মাশুরার। তৃতীয় গোলের দায় আরেক নির্ভরযোগ্য ডিফেন্ডার আঁখির। ম্যান মার্কিং শিউলি ছিলেন ব্যর্থ। সোমবার বিরাটনগরের দিল্লি পাবলিক স্কুল মাঠে অনুশীলনের পর আঁখি জানালেন গতরাতে তাদের নিয়ে হওয়া বিশেষ ক্লাসের কথা।

“আগের ম্যাচে আমাদের ভুল হয়ে গেছে। ফুটবলে ভুল হয়। এগুলো নিয়ে আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন কোচ। ডিফেন্ডারদের নিয়ে আলাদাভাবে মিটিং করা হয়েছে। সেখানে ভুলগুলো বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। কাজ করা হয়েছে ভুলগুলো শুধরে নেওয়ার জন্য।”

“কোচ নেপালের সাবিত্রা ভান্ডারি আর নিরু থাপাকে মার্কিং করতে বলেছিলেন। সেখানে আমরা কিছু ভুল করেছিলাম। মিটিংয়ে ভারত ম্যাচে আমাদের ম্যান টু ম্যান মার্কিং করে খেলার নির্দেশনা দিয়েছেন। আশা করি, গত ম্যাচের মতো ভুল এবার হবে না।”

ভারত-শ্রীলঙ্কা শেষ ম্যাচ মাঠে গিয়ে দেখেছেন বাংলাদেশ দলের কোচ-কর্মকর্তারা। হোটেলে বসে দেখেন খেলোয়াড়রা। তাছাড়া ভারতের কাছে গত নভেম্বরে অলিম্পিকের বাছাইয়ে ৭-১ গোলের হারের তেতো স্মৃতি তো আছেই। সেমি-ফাইনালে তাই প্রতিপক্ষের আক্রমণের কৌশল কেমন হবে সেটা আঁচ করতে পারছেন আঁখি।

“পল ও কোচ ম্যাচটা মাঠে বসে দেখেছেন। আমরা দেখেছি টিভিতে। ওই ম্যাচ নিয়ে ওভাবে কথা এখনও হয়নি। আজ হয়তো স্যার আমাদের ওই ম্যাচ নিয়ে, ফরমেশন নিয়ে বলবেন। কিভাবে ওদের আটকাতে হবে সে নির্দেশনা দিবেন।”

“ভারত বয়সে ও অভিজ্ঞতায় আমাদের চেয়ে এগিয়ে। তারা মাঝমাঠের দুই দিক দিয়ে বেশি আক্রমণ করে। আমাদের এ দিকটা নিয়ে সতর্ক থাকবে হবে। তবে আমরা একসঙ্গে অনেক দিন ধরে খেলছি। আমাদের ওই বিশ্বাস আছে, আমরা ভালো করতে পারব।”

সাফের গত চার আসরের সবগুলোতে চ্যাম্পিয়ন ভারত এখনও প্রতিযোগিতাটির ইতিহাসে হারের স্বাদ পায়নি। ২১ ম্যাচের মধ্যে দলটির করা মাত্র ১টি ড্র বাংলাদেশের সঙ্গে; ২০১৬ সালে শিলিগুঁড়ি-গুয়াহাটির আসরে। চলতি আসরে দুই ম্যাচে ১১ গোল দিয়ে একটিও হজম করেনি ভারত।

সবদিক থেকে এগিয়ে থাকা প্রতিপক্ষকে হারানো সম্ভব কিনা এমন প্রশ্নে আঁখির মতো ফরোয়ার্ড মিশরাত জাহান মৌসুমীও দিলেন ভালো খেলার আশাবাদ।

“সেমি-ফাইনাল আমাদের জন্য ডু অর ডাই ম্যাচ। আমরা সেভাবে খেলার চেষ্টা করব। মেয়েরা যদি প্রত্যেকে নিজেদের খেলাটা খেলতে পারে, তাহলে একটা ভালো খেলা হবে।”

“ভারত ভালো দল। গোলকিপার, ডিফেন্ডার, মিডফিল্ডার ও ফরোয়ার্ড-ওদের সবাই ভালো। ভারত ও নেপাল একই মানের দল। আমরা ভালো খেলার চেষ্টা করব।”