আগামী বুধবার সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে নেপালের বিরাটনগরের শহীদ রঙ্গসালা স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে দুই দল।
নেপালের বিপক্ষে ম্যাচের পর একদিন বিশ্রাম নিয়ে সোমবার বিরাটনগরের দিল্লি পাবলিক স্কুল মাঠে পুরোদমে সতীর্থদের সঙ্গে অনুশীলন করেছেন কৃষ্ণা। হাঁটুর চোটে গ্রুপ পর্বে ভুটান ও নেপালের বিপক্ষে খেলতে না পারা এই মিডফিল্ডার জানালেন ভারত ম্যাচের জন্য প্রস্তুত তিনি।
“গত দুই ম্যাচ খেলতে পারিনি। এজন্য মনোকষ্টে ভুগছিলাম। আমি এখন সেমি-ফাইনালের জন্য সম্পূর্ণ তৈরি। আশা করছি, সেমি-ফাইনালে শুরুর একাদশে খেলতে পারব।”
সাফে ভারত কখনও হারেনি। প্রতিযোগিতার চারবারের চ্যাম্পিয়নরা একমাত্র ড্র করেছিল বাংলাদেশের সঙ্গে; ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে শিলিগুঁড়ি-গুয়াহাটির আসরে। ওই ম্যাচে খেলার অভিজ্ঞতা থেকে কৃষ্ণা জানালেন বাংলাদেশ দলের শক্তি বেড়েছে আগের তুলনায়।
“এর আগে ভারতের সিনিয়র দলের বিপক্ষে আমি তিনটি ম্যাচ খেলেছি। এর মধ্যে দুটি ছিল গত সাফে। সেখানে গ্রুপ পর্বে ড্র করেছিলাম আর ফাইনালে হেরেছিলাম। আমাদের দলের শক্তি গত সাফের তুলনায় বেড়েছে। সে তুলনায় ভারত একই জায়গায় আছে বলে মনে করি আমি।”
গতবার প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠে ভারতের কাছে ৩-১ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। তবে কৃষ্ণা অনুপ্রেরণা নিচ্ছেন গ্রুপ পর্বের সেই গোলশূন্য ড্র থেকে।
“গতবার যদি আমরা তাদের সঙ্গে ড্র করতে পারি, তাহলে এবার কেন হারাতে পারব না?”