লা লিগার ম্যাচে রোববার রাতে ৪-১ গোলে জিতেছে শিরোপাধারীরা।
গত নভেম্বরে দুই দলের সবশেষ দেখায় কাম্প নউয়ে ৩-৪ গোলে বেতিসের কাছে হেরেছিল বার্সেলোনা। মধুর প্রতিশোধ নিল এরনেস্তো ভালভেরদের দল। জয় তুলে নিল প্রতিপক্ষের মাঠে।
বেতিসের মাঠে শুরু থেকেই আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে জমে ওঠে ম্যাচ। বার্সেলোনার বিপক্ষে সমানে সমানে লড়াই করে পয়েন্ট তালিকার আট নম্বরে থাকা দলটি। তবে ফিনিশিংয়ে ব্যর্থতা ভুগিয়েছে বেতিসকে। খুব বেশি সুযোগ তৈরি করতে না পারা বার্সেলোনাকে প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে নেন মেসি।
৪১তম মিনিটে মেসির স্কয়ার পাসে দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন সুয়ারেস। মাত্র আট গজ দূর থেকে অরক্ষিত উরুগুয়ের এই স্ট্রাইকার গোলরক্ষক বরাবর শট নিয়ে দলকে হতাশ করেন।
যোগ করা সময়ে ব্যবধান বাড়ান মেসি। সতীর্থের দিকে না তাকিয়েও দারুণ এক ব্যাকহিলে তাকে খুঁজে নেন সুয়ারেস। ছুটে গিয়ে নিখুঁত শটে বল জালে পাঠান আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।
চলতি আসরে এটি সুয়ারেসের দশম অ্যাসিস্ট। ৬০তম মিনিটে তা একাদশ হয়ে যেতে পারতো। তার দারুণ ক্রসে ফাঁকা জালে বল পাঠাতে কেবল একটা টোকা দরকার ছিল জর্দি আলবার। তিনি বলে মাথা ছোঁয়াতে পারেননি।
লা লিগায় উরুগুয়ের ফুটবলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ১২৮ গোল করা দিয়েগো ফোরলানের পাশে বসলেন সুয়ারেস। চলতি আসরে এটি তার ১৮তম গোল।
৮২তম মিনিটে লোরেন মোরনের গোলে ব্যবধান কমায় বেতিস। ডি-বক্সে আলবা পা পিছলে পড়ে গেলে বল পেয়ে যান দিয়েগো লাইনেস। তিন ডিফেন্ডারকে এড়িয়ে বল দেন অরক্ষিত মোরনকে। দারুণ শটে জাল খুঁজে নেন তিনি।
৮৫তম মিনিটে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন মেসি। ইভান রাকিতিচের কাছ থেকে বল পেয়ে দারুণ এক চিপে গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে জার খুঁজে নেন তিনি।
স্পেনের শীর্ষ লিগে মেসির এটা ৩৩তম আর ক্যারিয়ারে ৫১তম হ্যাটট্রিক।
২৮ ম্যাচে ২০ জয় আর ছয় ড্রয়ে ৬৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান আরও সুসংহত করেছে বার্সেলোনা।
শনিবার আথলেতিক বিলবাওয়ের মাঠে ২-০ গোলে হারা আতলেতিকো মাদ্রিদ ১০ পয়েন্ট কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে। শনিবারের আরেক ম্যাচে সেল্তা দে ভিগোর বিপক্ষে ২-০ গোলে জেতা রিয়াল মাদ্রিদ ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে রয়েছে।