নেপালের বিরাটনগরের শহীদ রঙ্গসালা স্টেডিয়ামে শনিবার স্বাগতিকদের কাছে ৩-০ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ। আগেই সেমি-ফাইনাল নিশ্চিত করা গোলাম রব্বানী ছোটনের দল ‘এ’ গ্রুপের রানার্সআপ হয়ে উঠল সেরা চারে। সেমি-ফাইনালে তাই সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ বর্তমান চ্যাম্পিয়ন শক্তিশালী ভারত।
টানা দুই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ‘এ’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হলো নেপাল। নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভুটানকে ৩-০ গোলে হারিয়েছিল তারা। ভুটানের বিপক্ষে পাওয়া ২-০ গোলের জয়ে ৩ পয়েন্ট বাংলাদেশের।
পঞ্চম মিনিটে প্রথম কর্নার পায় বাংলাদেশ। কিন্তু সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি দল। ফিরতি আক্রমণে গোলরক্ষক রুপনা চাকমাকে কাটিয়ে পোস্ট ফাঁকায় পেয়ে যাওয়া সাবিত্রা ভান্ডারি শট নেওয়ার আগে দারুণ ট্যাকলে রক্ষা করেন নিলুফা ইয়াসমিন নীলা। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। অনিতা বাসন্তির লম্বা ফিরতি শট মাসুরা পারভীন হেডে বিপদমুক্ত করতে গিয়ে নিজেদের জালে জড়িয়ে দেন।
দশম মিনিটে সতীর্থের বাড়ানো বল চিপ করে আগুয়ান রুপনা চাকমার মাথার ওপর দিয়ে নিরু থাপার লক্ষ্যভেদের প্রচেষ্টা অল্পের জন্য পোস্টের বাইরে গোলে বেঁচে যায় বাংলাদেশ। পাঁচ মিনিট পর ডান দিক থেকে হীরা কুমারীর থ্রু পাসে সাবিত্রার ফ্লিক ঝাঁপিয়ে পড়ে ফিরিয়ে দলের ত্রাতা গোলরক্ষক।
২৩তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে নেয় নেপাল। বাঁ দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠার সাবিত্রার গায়ের সঙ্গে মাসুরা সেঁটে থাকলেও পোস্ট ছেড়ে এগিয়ে যায় রুপনা। ভুটান ম্যাচের এক গোল করা নেপালের এই ফরোয়ার্ড পরে দুজনকে বোকা বানিয়ে জাল খুঁজে নেন।
পাঁচ মিনিট পর সাবিত্রার বাড়ানো বল কোনাকুনি শটে জাল জড়িয়ে বাংলাদেশকে আরও কোণঠাসা করে ফেলেন মাঞ্জালি কুমারী।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ডিফেন্ডার নীলাকে তুলে নিয়ে মাঝমাঠের শক্তি বাড়াতে সানজিদা খাতুনকে নামান কোচ। কিন্তু অভিজ্ঞতায় এগিয়ে থেকে নেপালের সঙ্গে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ।
৫৯তম মিনিটে ডান দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠা সাবিত্রার শট রুপনাকে ফাঁকি দিলেও দ্রুত দৌড়ে গিয়ে স্লাইডে নিশ্চিত গোল হতে দেননি মাসুরা। এরপর কর্নার ফেরান রুপনা।
৬৩তম মিনিটে সানজিদা খাতুনের কাটব্যাকে সিরাত জাহান স্বপ্নার শট ঝাঁপিয়ে পড়ে ফেরান নেপাল গোলরক্ষক। ফিরতি আক্রমণে সাবিত্রার শট রুপনাকে ফাঁকি দেওয়ার পর গোললাইন থেকে মাসুরা ফেরালে ব্যবধান বাড়েনি।
৭৯তম মিনিটে ফরোয়ার্ড সাবিনাকে তুলে নিয়ে মিডফিল্ডার মার্জিয়াকে নামান রব্বানী কিন্তু দলের আক্রমণে প্রত্যাশিত ধার বাড়েনি। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময় মার্জিয়ার কাটব্যাকে স্বপ্নার ডি-বক্সের বাইরে নেওয়া শট ক্রসবারে লেগে ফিরলে নেপালের বিপক্ষে গোলখরাও কাটল না বাংলাদেশের।
এ নিয়ে সিনিয়র পর্যায়ে সব মিলিয়ে নেপালের কাছে পঞ্চম হারের স্বাদ পেল বাংলাদেশ। সাফে ২০১০ সালে ৩-০ এবং ২০১৪ সালে ১-০ গোলে হেরেছিল দল। দক্ষিণ এশিয়ান গেমসের দুই ম্যাচেও ২০১০ সালে ১-০ ও ২০১৬ সালে ৩-০ গোলে হেরেছিলেন সাবিনারা। গত নভেম্বরে অলিম্পিক বাছাইয়ে দুই দলের ম্যাচটি ১-১ ড্র হয়েছিল।