বিরাটনগরের রাংসালা স্টেডিয়ামে আগামী বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বেলা ৩টায় ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভুটানের মুখোমুখি হবে গত আসরের রানার্সআপ বাংলাদেশ।
গ্রুপের প্রথম ম্যাচে ভুটানকে ৩-০ গোলে হারিয়ে বাংলাদেশের সেমি-ফাইনালে ওঠার কাজ কিছুটা সহজ করে দিয়েছে স্বাগতিক নেপাল। তিন দলের গ্রুপে তাই শুরুটা জয় দিয়ে হলে সেরা চারের টিকেট নিশ্চিত হয়ে যাবে গোলাম রব্বানী ছোটনের দলের।
সে লক্ষ্য পূরণের জন্য বুধবার সকালে দলবল নিয়ে স্টেডিয়ামের সবুজ আঙিনাতে শেষ মুহূর্তের অনুশীলন সেরেছে বাংলাদেশ। সতীর্থদের সঙ্গে পুরোদমে অনুশীলন করতে পারেননি কেবল কৃষ্ণা রানী সরকার। দিন পাঁচেক আগে পাওয়া হাঁটুর হালকা চোটের কারণে দল ছুট হয়ে হালকা অনুশীলন সারতে হয়েছে এই ফরোয়ার্ডকে।
“কৃষ্ণার ট্রেনিং… হালকা স্ট্রেচিং করানো হয়েছে। এখনও ২৪ ঘণ্টা সময় আছে। তারপর ওকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিব।”
রব্বানীর চিন্তার আরেকটি জায়গাও আছে। সেটা হচ্ছে অসমান মাঠ। ঘাসের মাঠে খেলা হবে দেখে দেশে বাফুফের টার্ফ ছেড়ে মেয়েদের বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে নিয়েছিলেন কোচ। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কোচ জানালেন পরিস্থিতি যাই হোক, লড়তে হবে পেশাদারদের মতো।
“টুর্নামেন্ট ফিক্সড হয়ে গেছে। এখন আমাদের এ মাঠেই খেলতে হবে। এ নিয়ে আর বাড়তি চিন্তা করার কিছু নেই। মেয়েরা পেশাদার খেলোয়াড়। এ বছর তারা অনেক আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে। অভিজ্ঞতা হয়েছে। তারা যেহেতু পেশাদার খেলোয়াড়, যখন যে অবস্থাই থাকবে সেটার সঙ্গে মানিয়ে নিয়েই তাদের লক্ষে পৌঁছাতে হবে।”
“ম্যাচটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সবাই জানি কাল আমরা জিতলে সেমি-ফাইনালে উঠব। এজন্য আমাদের মূল ফোকাস কালকের ম্যাচ নিয়ে। শতভাগ দেওয়ার জন্যই আমরা মাঠে নামব।”
ভুটানের কাছে দক্ষিণ এশিয়ান মেয়েদের ফুটবলের সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতায় ভুটানের কাছে কখনই হারেনি বাংলাদেশ। কক্সবাজারের সেই বিশাল জয়ের পর ২০১২ সালে কলম্বোর আসরে দল জিতেছিল ১-০ তে।
প্রায় সাত বছর পর ভুটানকে সামনে পেয়ে রব্বানী যাচ্ছেন না হিসেবের মারপ্যাচে। সব সমীকরণ মেলাতে মেয়েদেরকে শুধু নিজেদের খেলায় মনোযোগ দেওয়ার পরামর্শ তার।
“ভুটানের প্রথম ম্যাচ দেখেছি। মেয়েদেরও দেখিয়েছি। আসলে আমাদের লক্ষ্য নিজেদের খেলায় থাকা, নিজেদের পারফরম্যান্স করা। আশা করি, সুযোগ আসবে এবং সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে আমরা জিতব।”