নতুন চুক্তি অনুযায়ী ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত রিয়ালে থাকবেন জিদান। সোমবার ক্লাবের ওয়েবসাইটে দেওয়া বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, বরখাস্ত হওয়া সোলারি ক্লাবের অন্য দায়িত্বে থাকবেন।
কঠিন সময়ে রিয়ালের দায়িত্বে ফিরেছেন জিদান। ঘরের মাঠে শেষ চার ম্যাচের সবকটিতে হেরেছে স্পেনের সফলতম ক্লাবটি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোয় আয়াক্সের কাছে হেরে বিদায় নিয়েছে প্রতিযোগিতার গত তিনবারের চ্যাম্পিয়নরা। এর আগে তিন দিনের ব্যবধানে চির প্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার কাছে দুইবার হারে তারা। প্রথম হারে ছিটকে পড়ে কোপা দেল রে থেকে এবং দ্বিতীয় হারে লা লিগায় শীর্ষস্থানধারীদের চেয়ে পিছিয়ে পড়ে ১২ পয়েন্টে।
গত বছরের মে মাসে রিয়ালের কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পর স্পেনেই ছিলেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান জিদান।
“আমি মাদ্রিদেই ছিলাম, নিজের কাজ করছিলাম। কিন্তু আমি নিজেকে সতেজ করেছি। আবারও এই অসাধারণ ক্লাবে কোচিং করাতে আমি প্রস্তুত।”
“যখন আমি দায়িত্ব ছাড়লাম, এটা ছিল সবার জন্য সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত। দল ও স্কোয়াডের একটা পরিবর্তন দরকার ছিল। আর কিছুই না। নয় মাস কেটে গেল এবং ক্লাব আমাকে আবারও ডাকল।”
নিজের শেষ মৌসুমে ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় দল সেরা ছন্দে ছিল না, সে কথা স্বীকার করেন জিদান। ২০১৭-১৮ লা লিগায় চ্যাম্পিয়ন হওয়া বার্সেলোনার চেয়ে ১৭ পয়েন্ট পিছিয়ে তৃতীয় হয়েছিল রিয়াল।
“গত মৌসুমে আমরা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতলাম। কিন্তু কোপা ও লা লিগায় আমরা কঠিন সময় কাটিয়েছিলাম। আমি অনেক কিছুই ভুল করেছিলাম।”
“(এ মৌসুমে)যা ঘটেছে তা নিয়ে আমি খুশি নই। কিসের অভাব হচ্ছে তা আমাদের খুঁজে বের করা দরকার। এখন আমাদের কি দরকার, প্রথমে সেটাই খুঁজে বের করতে হবে। এরপর খুঁজে বের করতে হবে যে আগামী মৌসুমের জন্য আমাদের কি দরকার।”