ঘরের মাঠে শনিবার ৩-১ গোলে জিতেছে পেপ গুয়ার্দিওলার দল। ইতিহাদ স্টেডিয়ামে দ্বিতীয়ার্ধে বদলি নেমে প্রথম স্পর্শেই সফরকারীদের একমাত্র গোলটি করেন জেরার্দ দেউলোফেউ।
প্রতিপক্ষের মাঠে ওয়াটফোর্ড শুরু থেকেই ছিল রক্ষণাত্মক। নিজেদের অর্ধে গুটিয়ে থাকা দলটিকে চেপে ধরে সিটি। অষ্টম মিনিটে প্রথম ভালো সুযোগটি পায় তারা। রিয়াদ মাহরেজের চমৎকার ক্রসে ঠিকমতো হেড করতে পারেননি অরক্ষিত দাভিদ সিলভা।
২৯তম মিনিটে দলকে এগিয়ে নেওয়ার দারুণ সুযোগ হাতছাড়া করেন সের্হিও আগুয়েরো। বের্নার্দো সিলভার ক্রসে মাত্র ছয় গজ দূর থেকে অরক্ষিত এই ফরোয়ার্ড হেডে বল জালে পাঠাতে পারেননি। ৩১তম মিনিটে শট নিতে দেরি করে আরেকটি ভালো সুযোগ হাতছাড়া করেন স্টার্লিং।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সৌভাগ্যসূচক গোলে এগিয়ে যায় সিটি। আগুয়েরো বুক দিয়ে নামিয়ে বল বাড়ান স্টার্লিংকে। সে সময় অফসাইডে ছিলেন তিনি। ওয়াটফোর্ড ডিফেন্ডার ইয়ানমাত বল ক্লিয়ার করতে গেলে তার পায়ে লেগে জড়ায় জালে।
লাইন্সম্যান অফ সাইডের পতাকা তুলেছিলেন। তবে তার সঙ্গে কথা বলার পর গোলের বাঁশি বাজান রেফারি। ইয়ানমাতের আগে স্টার্লিং বল স্পর্শ করলে অফসাইডের জন্য গোল পেত না সিটি।
৫৮তম মিনিটে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন স্টার্লিং। ডিফেন্স চেরা পাস পেয়ে একজনকে কাটিয়ে দুই জনের মাঝ দিয়ে বাঁকানো শটে জাল খুঁজে নেন তিনি। ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় সিটি।
৬৬তম মিনিটে বদলি নামা দুই খেলোয়াড় ডিনি ও দেউলোফেউ কয়েক সেকেন্ডর মধ্যে দলকে গোল এনে দেন। ফ্রি কিক থেকে গোলরক্ষকের উঁচু করে বাড়ানো বল হেড করে সামনে বাড়ান ডিনি। ছুটে গিয়ে প্রথম স্পর্শেই বল জালে পাঠান বার্সেলোনার সাবেক খেলোয়াড় দেউলোফেউ।
৭৯তম মিনিটে একা পেয়েও গোলরক্ষককে ফাঁকি দিতে পারেননি বের্নার্দো সিলভা। বাকি সময়ে আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে উত্তেজনা ছড়ায় ম্যাচে। তবে আর গোল পায়নি কোনো দলই।
এই জয়ে ৩০ ম্যাচে ৭৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান সুসংহত করেছে সিটি। এক ম্যাচ কম খেলা লিভারপুল ৭০ পয়েন্ট নিয়ে আছে দ্বিতীয় স্থানে।
দিনের অন্য ম্যাচে সাউথ্যাম্পটনের বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরে যাওয়া টটেনহ্যাম হটস্পার ৩০ ম্যাচে ৬১ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে রয়েছে।
২৯ ম্যাচে ৫৮ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে আছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। সমান ম্যাচে ৫৭ পয়েন্ট নিয়ে তাদের পরেই আছে আর্সেনাল। ২৮ ম্যাচে ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে ছয় নম্বরে আছে চেলসি।