শনিবার রাতে নম পেনের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে রবিউল হাসানের শেষ দিকের গোলে ১-০ জেতে বাংলাদেশ। টানা দুই হারের পর জয়ে ফিরল দল। বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপের গ্রুপ পর্বে গত অক্টোবরে লাওসকে সবশেষ হারিয়েছিলেন জামাল-বিপলুরা।
প্রথমার্ধে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষককে তেমন কোনো পরীক্ষা নিতে না পারলেও দ্বিতীয়ার্ধে গোছালো আক্রমণে কম্বোডিয়াকে চাপে রাখে বাংলাদেশ। ৫৪তম মিনিটে জামাল ভূইয়ার জোরালো শট ফেরান গোলরক্ষক। ৭৮তম মিনিটে মাশুক মিয়া জনির শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
৮২তম মিনিটে আরেক বদলি ফরোয়ার্ড মাহবুবুর রহমান সুফিলের বাড়ানো বল প্লেসিং শটে জালে জড়িয়ে দেন রবিউল হাসান। এ গোলে জয় নিশ্চিত হওয়ার পর ম্যাচ শেষের প্রতিক্রিয়ায় কোচ ডে শিষ্যদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন।
“ছেলেদের পারফরম্যান্সে আমি দারুণ খুশি। ছেলেরা কঠোর পরিশ্রম করেছে এ ম্যাচের জন্য। ছেলেদের প্রচেষ্টা ছিল দুর্দান্ত। কেননা এখানে গরম ছিল বেশি। খুব ভালো খেলেছে ছেলেরা। জয়টা আমাদের প্রাপ্য ছিল।”
“কম্বোডিয়াও ভালো দল। দূরপাল্লার শটে ওরা চেষ্টা করেছে। আসলে স্বাগতিকদের মাঠে খেলা সবসময়ই কঠিন। তবে এটা আমাদের কৃতিত্ব যে, আমরা প্রতিপক্ষের মাঠে ম্যাচটা নিয়ন্ত্রণ করেছি। আমরা একটা তারুণ্য নির্ভর দল খেলিয়েছি। এই দলে অনূর্ধ্ব-২৩ দলের খেলোয়াড় আছে ৬-৭ জন। এই ফল আমাদের জন্য ইতিবাচক।”
৬৫তম মিনিটে বিপলু আহমেদের বদলি নামেন রবিউল। দলকে জয়সূচক গোল এনে দিতে পেরে ভীষণ খুশি আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের এই মিডফিল্ডার।
“এই অনুভূতি প্রকাশ করার নয়। শেষ মুহূর্তে যে আমার গোলে দল জিতবে, এটা আমি কখনই ভাবিনি। বিশেষ ধন্যবাদ সুফিলকে; ঠিক সময়ে সে পাসটি দিয়েছে।”
“মাঠে নামার শুরু থেকে আমি খুব মনোযোগী ছিলাম। কোচ আগেই বলেছিলেন মাঠে মনোযোগ ধরে রাখবে। আমি সেটা রাখার চেষ্টা করেছি এবং গোল পেয়েছি।”