২০১৮-১৯ আসরের ফাইনালে লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে রোববার স্থানীয় সময় বিকালে টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে জিতে সিটি। প্রতিযোগিতায় এটি তাদের টানা দ্বিতীয় ও সব মিলিয়ে ষষ্ঠ শিরোপা। আটবার শিরোপা জিতে ম্যানচেস্টারের ক্লাবটির চেয়ে এগিয়ে আছে কেবল লিভারপুল।
বিরতির খানিক আগে প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগটি পায় সিটি। আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার নিকোলাস ওতামেন্দির চেষ্টা রুখে দেন চেলসি গোলরক্ষক কেপা আরিসাবালাগা।
দ্বিতীয়ার্ধের সপ্তম মিনিটে নিজেদের প্রথম ভালো সুযোগটি পায় চেলসি। পাল্টা আক্রমণে দারুণ ক্ষিপ্রতায় বাঁ দিক দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে শট নিতে দেরি করে ফেলেন বেলজিয়ান ফরোয়ার্ড আজার। চার মিনিট পর জালে বল পাঠিয়েছিলেন আগুয়েরো; কিন্তু আর্জেন্টাইন এই ফরোয়ার্ড অফসাইডে থাকায় ভিএআরের সাহায্য নিয়ে গোল দেননি রেফারি।
১০৯তম মিনিটে স্টালিংয়ের কাটব্যাক গোলমুখে জটলার মধ্যে পেলেও শট নিতে পারেননি আগুয়েরো। সাত মিনিট পর আর্জেন্টাইন এই স্ট্রাইকারের শট আরিসাবালাগা ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দিলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।
ক্র্যাম্প বেশ ভোগাচ্ছিল আরিসাবালাগাকে। তাই শেষের দিকে তার জায়গায় টাইব্রেকারের জন্য আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক উইলি কাবাইয়েরোকে নামাতে চেয়েছিলেন কোচ মাওরিসিও সাররি। তবে হাত নেড়ে মাঠ থেকে উঠে যেতে অস্বীকৃতি জানান বিশ্বের সবচেয়ে দামি গোলরক্ষক। শিষ্যের এমন ব্যবহারে ডাগআউটে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান ইতালিয়ান কোচ।
জর্জিনিয়োর নেওয়া চেলসির প্রথম শটটি রুখে দেন ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক এদেরসন। আর দাভিদ লুইসের চার নম্বর শট পোস্টে বাধা পায়। দলটির গোল তিনটি করেন সেসার আসপিলিকুয়েতা, এমেরসন ও আজার।