শেষ মুহূর্তের গোলে রিয়ালের নাটকীয় জয়

উজ্জীবিত আয়াক্সের বিপক্ষে কঠিন লড়াইয়ের মুখে পড়ে রিয়াল মাদ্রিদ। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে এগিয়ে গেলেও গোল খেয়ে হোঁচট খাওয়ার শঙ্কায় পড়েছিল তারা। তবে শেষ দিকে মার্কো আসেনসিওর গোলে নাটকীয় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপাধারীরা।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Feb 2019, 09:56 PM
Updated : 13 Feb 2019, 10:23 PM

আমস্টাডার্মের ইয়োহান ক্রুইফ অ্যারেনায় বুধবার রাতে শেষ ষোলোর প্রথম লেগে ২-১ গোলে জেতে রিয়াল। করিম বেনজেমার গোলে রিয়াল এগিয়ে যাওয়ার পর হাকিমের নৈপুণ্যে সমতায় ফিরেছিল আয়াক্স।

ম্যাচের প্রথমদিকে রিয়ালের পারফরম্যান্স ছিল ভীষণ হতাশাজনক। ভুল পাসের ছড়াছড়িতে তাদের আক্রমণে ওঠার চেষ্টাগুলো ভেস্তে যাচ্ছিল বারবার। তবে পঞ্চদশ মিনিটে প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগটি পেয়েছিল তারাই; বাঁ দিক দিয়ে ভিনিসিউস জুনিয়র দ্রুত আক্রমণে উঠে ডি-বক্সে ঢুকে এক জনকে কাটিয়ে জোরালো শট নেন, ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান গোলরক্ষক।

অন্যদিকে, শুরু থেকে রিয়ালের রক্ষণে চাপ বাড়ানো আয়াক্স ২৭তম মিনিটে ভাগ্যের ফেরে গোলবঞ্চিত হয়। সার্বিয়ার ফরোয়ার্ড দুসান তাদিচের শট পোস্টে লেগে ফেরে। আট মিনিট পর আয়াক্সকে এগিয়ে দেওয়ার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিলেন মরক্কোর মিডফিল্ডার হাকিম। ১০ গজ দূরে ফাঁকায় বল পেয়েছিলেন তিনি, সামনে একমাত্র বাধা ছিল গোলরক্ষক; কিন্তু তার দুর্বল শট এগিয়ে এসে রুখে দেন থিবো কোর্তোয়া।

৩৮তম মিনিটে আয়াক্সের আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার নিকোলাস তাগলিয়াফিকো হেডে জালে বল পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু তাদিচ অফসাইডে থাকায় ভিএআরের সাহায্য নিয়ে গোল দেননি রেফারি।

দ্বিতীয়ার্ধের ষষ্ঠ মিনিটে করিম বেনজেমার শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান আয়াক্স গোলরক্ষক। পরের মিনিটে পাল্টা আক্রমণে ব্রাজিলের ফরোয়ার্ড দাভিদ নেরেসের শট কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান কোর্তোয়া।

৬০তম মিনিটে দারুণ এক আক্রমণে এগিয়ে যায় রিয়াল। নিজেদের সীমানা থেকে সতীর্থের বাড়ানো বল ধরে ভিনিসিউস বাঁ দিক দিয়ে দ্রুত আক্রমণে উঠে ডি-বক্সে ঢুকে দুজনকে কাটিয়ে ছোট করে পাস দেন বেনজেমাকে। আর প্রথম ছোঁয়ায় জোরালো কোনাকুনি শটে বল ঠিকানায় পাঠান ফরাসি এই স্ট্রাইকার।

ক্লাব ফুটবলে ইউরোপ সেরা প্রতিযোগিতায় বেনজেমার এটি ৬০তম গোল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসের গোলদাতার তালিকায় তার উপরে আছেন তিন জন; রাউল গনসালেস (৭১), লিওনেল মেসি (১০৬) ও ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো (১২১)।

৭৫তম মিনিটে অবশেষে প্রত্যাশিত গোলের দেখা পায় স্বাগতিকরা। বাঁ দিক থেকে নেরেসের বাড়ানো বল ডি-বক্সে পেয়ে ঠান্ডা মাথায় নিখুঁত প্লেসিং শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন হাকিম।

চার মিনিট পর আবারও এগিয়ে যেতে পারতো রিয়াল। তবে খানিক আগে বেনজেমার বদলি নামা মার্কো আসেনসিওর শট পোস্ট ঘেঁষে লাগে পাশের জালে।

৮৭তম মিনিটে স্প্যানিশ এই মিডফিল্ডারের গোলেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ডান দিক থেকে দানি কারভাহালের দূরের পোস্টে বাড়ানো দুর্দান্ত ক্রসে পা বাড়িয়ে বল লক্ষ্যে পাঠান আসেনসিও।

দুর্দান্ত জয়ের পরও একটা অস্বস্তি নিয়ে মাঠ ছেড়েছে সর্বোচ্চ ১৩ বারের ইউরোপ চ্যাম্পিয়নরা। যোগ করা সময়ে সের্হিও রামোস হলুদ কার্ড পাওয়ায় আগামী ৫ মার্চ ঘরের মাঠে ফিরতি পর্বে অধিনায়ককে পাবে না রিয়াল মাদ্রিদ।

শেষ ষোলো পর্বে একই সময়ে শুরু হওয়া অন্য ম্যাচে ইংলিশ ক্লাব টটেনহ্যাম হটস্পার ৩-০ গোলে হারিয়েছে জার্মানির বরুসিয়া ডর্টমুন্ডকে। গোলগুলো করেন সন হিউং-মিন, ইয়ান ভার্টোনেন ও ফের্নান্দো লরেন্তে।