শেষ ষোলোর প্রথম লেগে মঙ্গলবার রাতে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ২-০ গোলে জিতে প্যারিসের ক্লাবটি। প্রেসনেল কিম্পেম্বের গোলে পিএসজি এগিয়ে যাওয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কিলিয়ান এমবাপে। দুটি গোলেই অবদান রাখেন আনহেল দি মারিয়া।
উলে গুনার সুলশারের অধীনে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ১১ ম্যাচে অপরাজিত ছিল রেড ডেভিলরা। এর মধ্যে ১০টিতেই জিতেছিল তারা। এমন দারুণ ছন্দে থাকা দলের বিপক্ষে জিতে ইউরোপ সেরা প্রতিযোগিতার কোয়ার্টার-ফাইনালে ওঠার পথে এগিয়ে গেছে পিএসজি।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে পিএসজির গত দুই আসরের স্মৃতি সুখকর নয়। দুবারই শেষ ষোলোয় থেমেছিল তাদের পথচলা। গত মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরেছিল দুই লেগেই। এর আগের মৌসুমে বার্সেলোনার বিপক্ষে ঘরের মাঠে ৪-০ গোলে জয়ের পর ফিরতি পর্বে কাম্প নউয়ে ৬-১ গোলে উড়ে গিয়েছিল দলটি।
নকআউট পর্বে সাম্প্রতিক সময়ের স্মৃতি মোটেও আশা জাগানিয়া নয়। তার উপর আবার চোটের কারণে নেই দলের গুরুত্বপূর্ণ দুই সদস্য। তবে ভয় না পেয়ে সতীর্থদের সাহসী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এ পর্যন্ত ১৪ গোল করা তরুণ ফরোয়ার্ড এমবাপে। ইউনাইটেডের বিপক্ষে ফিরতি পর্বের আগে অবশ্য সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন উরুগুয়ের স্ট্রাইকার কাভানি।
“আমাদের অবশ্যই ভয় পাওয়া বন্ধ করতে হবে। ফুটবল মাঠে খেলা হয়। নেইমার ও কাভানি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমাদেরকে সমর্থন করতে হবে।”
“ফরাসি ফুটবলকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে যতদূর সম্ভব যেতে হবে। আমাদেরকে মানুষ অবশ্যই সমর্থন করবে। আগামী সপ্তাহে (বার্সেলোনার বিপক্ষে) আমরা লিওঁকে সমর্থন করব। আমাদের অবশ্যই ভয় পাওয়া বন্ধ করতে হবে।”
আগামী ৬ মার্চ পিএসজির মাঠে হবে ফিরতি পর্ব। ম্যাচের শেষ দিকে দানি আলভেসকে অহেতুক ফাউল করে পল পগবা দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখায় ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী এই মিডফিল্ডারকে ফিরতি লেগে পাবে না ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।