২০০ মিটার স্প্রিন্টে সোহাগীর রেকর্ড

দ্রুততম মানবী শিরিন আক্তারের সঙ্গে সোহাগী আক্তারের লড়াইটা দারুণ জমল। শেষ পর্যন্ত ফটো ফিনিশিংয়ে শিরিনকে হারিয়ে জাতীয় অ্যাথলেটিক্সের মেয়েদের ২০০ মিটারে সেরা হয়েছেন সোহাগী। ইলেক্ট্রনিক টাইমিংয়ের হিসেবে গড়েছেন জাতীয় রেকর্ড।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Jan 2019, 12:55 PM
Updated : 26 Jan 2019, 02:20 PM

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের ট্র্যাকে শনিবার ২৫ দশমিক ০৬ সেকেন্ড সময় নিয়ে সেরা হন সোহাগী। শিরিনের টাইমিং ২৫ দশমিক ০৮ সেকেন্ড। ২৫ দশমিক ১৩ সেকেন্ড সময় নিয়ে ২০১৩ সালে আগের রেকর্ডটি গড়েছিলেন জাকিয়া সুলতানা।

অবশ্য হ্যান্ড টাইমিংয়ের হিসেবে এই ইভেন্টের সেরা টাইমিংয়ের রেকর্ডটি নাজমুন্নাহার বিউটির থাকল। ২০০৬ সালে ২৪ দশমিক ৩০ সেকেন্ড সময় নিয়ে রেকর্ডটি গড়েছিলেন বিউটি।

রেকর্ড গড়তে পেরে সোহাগী নিজেও বিস্মিত। জাতীয় পর্যায়ে ২০০ মিটারে চারবার সেরা হওয়া এই অ্যাথলেট দিলেন এসএ গেমসেও ভালো কিছু করার প্রতিশ্রুতি।

“শিরিন বিকেএসপিতে অনুশীলন করে। আমি এখানে (বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে) আসি। অনুশীলন ভালোই হয় কিন্তু এক বেলা। তবে বিশ্বাস ছিল সোনা জিতব। রেকর্ড গড়ার কথা ভাবিনি। জাকিয়া আপার রেকর্ড ভাঙ্গতে পেরে ভালো লাগছে।”

“অনান্য দেশের অ্যাথলেটদের মতো আমাদের তো ওরকম অনুশীলনের সুযোগ দেওয়া হয় না। ওরকম সুযোগ দিলে এসএ গেমসে ভালো করা সম্ভব।”

২১ দশমিক ৭৮ সেকেন্ড সময় নিয়ে ছেলেদের ২০০ মিটারে শিরোপা ধরে রেখেছেন জহির রায়হান। আগের দিন ৪০০ মিটারে ৪৬ দশমিক ৮৬ সেকেন্ড সময় রেকর্ড গড়া এই অ্যাথলেট এসএ গেমসেও দৌড়াতে চান প্রিয় ইভেন্ট ৪০০ মিটারে।

“৪০০ মিটারে রেকর্ড গড়ার পর অনেক ক্লান্ত ছিলাম। পেশি দুর্বল ছিল। এটাতেও রেকর্ড করার সুযোগ ছিল। কিন্তু হলো না। ৪০০ মিটারে দৌড়ানোর পর দুই-তিন দিন লাগে রিকোভারির জন্য। তাছাড়া আমারও কিছু ভুল ছিল। শেষ স্টেপটা ঠিকমতো হয়নি।”

“এসএ গেমসে টার্গেট মূলত ৪০০ মিটার নিয়ে। কেননা ইন্টারন্যাশনাল ইভেন্ট কঠিন। এখানে ভালো করতে হলে যেকোনো একটা ইভেন্টে ফোকাস রাখলে ভালো হয়। তারপরও চেষ্টা করব দুইটা করার। যদি ২০০ মিটার আগে হয়, তাহলে ওটা না করাই ভালো হবে। ৪০০ মিটার করার পর যদি সময় থাকে তাহলে ২০০ করব।”

ছেলেদের ২০ কিলোমিটার হাঁটায় সেনাবাহিনীর রহিম উদ্দিন (১ ঘণ্টা ৪২ মিনিট ৭ দশমিক ৯৬ সেকেন্ড),  পোলভোল্টে নৌবাহিনীর সাইফুল ইসলাম (৩ দশমিক ৯৫ মিটার), ৪০০ মিটার হার্ডলসে নৌবাহিনীর ইবাদ আলী (৫৫ দশমিক ৩৩ সেকেন্ড), ট্রিপল জাম্পে সেনাবাহিনীর সোহেল রানা (১৪ দশমিক ৭২ মিটার), চাকতি নিক্ষেপে সেনাবাহিনীর মামুন শিকদার (৪৩ দশমিক ৪৪ মিটার) এবং ১০ হাজার মিটার দৌড়ে সেনাবাহিনীর আল আমিন সেরা হন।

ছেলেদের ৮০০ মিটারে সেনাবাহিনীর কামরুল হাসান (১ মিনিট ৫৪ দশমিক ৬০ সেকেন্ড) এবং মেয়েদের বিভাগে একই দলের সুমী আক্তার (২ মিনিট ২৫ দশমিক ২০ সেকেন্ড) সেরা হয়েছেন।

মেয়েদের চাকতি নিক্ষেপে নৌবাহিনীর জাকিয়া আক্তার (৩৮ দশমিক ৮৭ মিটার) প্রথম হয়েছেন।

প্রতিযোগিতার শেষ ইভেন্ট ৪০০ মিটার রিলেতে তালেব-মাসুদ-মিনহাজ-সবুজ মিলে ৩ মিনিট ১৭ দশমিক ২০ সেকেন্ড সময় নিয়ে সেনাবাহিনীকে সোনা এনে দেন।

জাতীয় অ্যাথলেটিক্সের ৪২তম আসরে একটি রেকর্ডসহ দুটি স্বর্ণপদক জিতে সেরা পুরুষ অ্যাথলেট হয়েছেন জহির। ৪০০, ৮০০, ১৫০০ ও ৩০০০ মিটার দৌড়ে স্বর্ণ জিতে সেরা মহিলা অ্যাথলেট হয়েছেন সেনাবাহিনীর সুমী।

১৬টি সোনা, ১৩টি রুপা ও ১৭টি ব্রোঞ্জসহ ৪৬টি পদক নিয়ে দলীয়ভাবে সেরা হয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। দ্বিতীয় হওয়া নৌবাহিনী পেয়েছে ১৫টি সোনা, ২১টি রুপা ও ৯টি ব্রোঞ্জসহ ৪৫টি পদক।