৩৩ বছর বয়সী রোনালদোর আইনজীবী পিটার এস ক্রিস্টিয়েনসেন বিবিসিকে বিষয়টিকে ‘খুবই স্বাভাবিক অনুরোধ’ বলে জানান।
দি ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, পরোয়ানাটি সম্প্রতি ইতালিতে কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।
২০০৯ সালে লাস ভেগাসের হোটেলে ক্যাথরিন মায়োরগাকে ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করেন রোনালদো।
রোনালদোর ডিএনএ নমুনা চাওয়ার প্রসঙ্গে তার আইনজীবী ক্রিস্টিয়েনসেন বিবৃতিতে বলেন, “ক্রিস্তিয়ানো সবসময়ই যেটা বলেছেন আজও সেটাই বলেছেন-২০০৯ সালের লাগ ভেগাসের হোটেলে যেটা ঘটেছিল, সেটা পারস্পরিক সমঝোতায় হয়েছিল। তাই (সেখানে) তার ডিএনএ পাওয়াটা বিস্ময়ের নয়। তদন্তের অংশ হিসেবে পুলিশ যে অনুরোধ করেছে সেটাও বিস্ময়ের নয়।”
জার্মান সাময়িকী ডের স্পিগেল গত অক্টোবরে প্রথম এই খবর প্রকাশ করে। সাময়িকীটি জানিয়েছিল, ঘটনা ঘটার অল্প সময়ের মধ্যে লাস ভেগাসের পুলিশকে জানিয়েছিলেন মায়োরগা।
লাস ভেগাসের পুলিশ জানায়, অন্যসব ধর্ষণের তদন্তের ক্ষেত্রে যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়, রোনালদোর বিষয়েও একই পদক্ষেপ নিচ্ছে তারা। পর্তুগিজ ফরোয়ার্ডের ডিএনএ চাওয়ার বিষয়টি ইতালিয়ান কর্তৃপক্ষকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেছে তারা।
জার্মান সাময়িকীর প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, ২০১০ সালে আদালতের বাইরে রোনালদোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে একটি সমঝোতায় পৌঁছান মায়োরগা। তিন লাখ ৭৫ হাজার ডলারের বিনিময়ে কখনও এই অভিযোগ প্রকাশ না করার ব্যাপারে রাজি হন তিনি।
মায়োরগার আইনজীবীরা এখন ঘটনাটি জনসম্মুখে না আনার চুক্তি বাতিল ঘোষণা করতে চাইছে।