২০১৭ সালের জানুয়ারিতে ব্রাজিলের পালমেইরাস থেকে সিটিতে যোগ দেওয়া জেসুসের মাঠে সময়টা ভালো কাটছিল না। গত মৌসুমের মাঝামাঝি হাঁটুর লিগামেন্টে চোট পাওয়ার পর ছিলেন না ছন্দে। গত বছর রাশিয়া বিশ্বকাপে ব্রাজিলের সবগুলো ম্যাচ খেলেও পারেননি গোল করতে।
লিগে সিটির হয়ে ১১ ম্যাচ ও ৪৮৭ মিনিট পর ডিসেম্বরে প্রিমিয়ার লিগে এভারটনের বিপক্ষে জালের দেখা পান জেসুস। পরের চার ম্যাচের দুটিতে মাঠে নামার সুযোগ পেলেও আর কোনো গোল করতে পারেননি। লিগে সিটির শেষ এগারো ম্যাচের ছয়টিতেই শুরুর একাদশে জায়গা পাননি জেসুস।
এমন অবস্থায় আক্রমণভাগে জায়গা পেতে আগুয়েরোর সঙ্গে জেসুসকে লড়াই করতে হবে বলে জানিয়েছিলেন পেপ গুয়ার্দিওলা। কোচের ছুড়ে দেওয়া চ্যালেঞ্জের জবাবে মাঠে নেমেই জ্বলে ওঠেন ২১ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। লিগ কাপে বুধবার সেমি-ফাইনালের প্রথম লেগে ঘরের মাঠে বার্টনকে ৯-০ ব্যবধানে উড়িয়ে দেওয়ার ম্যাচে একাই চার গোল করেন তিনি। এর তিন দিন আগে এফএ কাপে রদারহ্যাম ইউনাইটেডের বিপক্ষে ৭-০ ব্যবধানে জয়েও একটি গোল করেছিলেন তিনি।
“আমি এখানে দলকে সাহায্য করতে এসেছি। সের্হিও, পেপ ও সবাইকে সাহায্য করতে এবং কঠোর পরিশ্রম করতে এসেছি। আমি শুধু খেলা উপভোগ করতে চাই এবং গোল করতে চাই। সিটির হয়ে সের্হিও অনেক গোল করেছে এবং আমি তাকে একজন কিংবদন্তি হিসেবে সম্মান করি। পেপ যখন তাকে মাঠে নামায় সে সাহায্য করে। আমি তাই করি যখন মাঠে থাকি।”
চলতি মৌসুমে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ১৬ ম্যাচ খেলে মাত্র তিন গোল করেছেন জেসুস। তবে বিশ্বকাপে জ্বলে উঠতে ব্যর্থ হওয়া তরুণ এই ফরোয়ার্ড ঘুরে দাঁড়াতে আত্মবিশ্বাস।
“আমার গোল করার দরকার, আমি এটা জানি। কখনও কখনও এটা কঠিন কিন্তু আমি সবসময় গোল করার চেষ্টা করি এবং দলকে সাহায্য করি। আমি একজন স্ট্রাইকার তাই আমাকে গোল করতে হবে। তবে আমি সব সময় ভালো খেলার চেষ্টা করি এবং সব সময় দলকে সাহায্য করি।”
“এই সপ্তাহ আমার জন্য বিশেষ কিছু কারণ আমি অনেক গোল করেছি। রদারহ্যামের বিপক্ষে আমি হয়তো খুব বেশি চেষ্টা করেছি এবং দুই বার তিনটি গোল মিস করেছি। গোল করতে আমি প্রতিদিন কঠোর পরিশ্রম করি আর একারণেই এই চার গোল আমাকে অনেক খুশি করেছে কারণ আমার পরিশ্রম সফল হয়েছে।”