পায়ের চোটে গত মৌসুমের অনেকটা সময় মাঠের বাইরে ছিলেন নেইমার। রাশিয়া বিশ্বকাপে ফিরলেও সেখানে প্রত্যাশিত আলো ছড়াতে পারেননি তিনি। ২০১৮ সালের ব্যালন ডি’অরের লড়াইয়ে সেরা দশে ছিলেন না পিএসজির এই ফরোয়ার্ড। তবে ওমনিস্পোর্তের সঙ্গে আলাপচারিতায় জিকো জানান, তার চোখে নেইমার অসাধারণ।
“নেইমার নাম্বার টেন হিসেবে খেলে না। সে উইংয়ের খেলোয়াড় এবং সবসময় সেটাই আছে। ক্লাবগুলো তাকে নাম্বার ১০ দিয়েছে। কারণ, সব ক্লাবের ফরোয়ার্ড ১০ নম্বর পছন্দ করে। কেননা, এটা তাদের ক্লাবের সেরা খেলোয়াড়দের প্রতিনিধিত্ব করে।”
“তাই ১০ নম্বর জার্সির একটা ভার ছিল। শুধু জাতীয় দলেই নয়, ব্রাজিলেও।…এটা সত্যি যে, তার উপর আরও বেশি চাপ আছে। জয়ের বেলায় সব বড় খেলোয়াড়ই দুর্দান্ত; কিন্তু হারের সময় তারা তুলনামূলক বেশি চাপেও থাকে। তবে নেইমার ব্যতিক্রমী খেলোয়াড়। বিশ্ব ফুটবলে তার মতো মেধা কমই আছে। আমি তাকে মেসি ও রোনালদোর পর্যায়ে রাখব।”
ব্রাজিল দলে ১০ নম্বর জার্সি পরে প্রত্যাশার প্রতিদান দিতে না পারার কারণে মাঝে মধ্যে নেইমারকে সমালোচনার শিকার হতে হয়। এ প্রসঙ্গে জিকো বলেন, “এটা ব্রাজিল দলের জার্সি নয়। এটা পেলের জার্সি। যিনি ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে বড় খেলোয়াড়। সমস্যাটাও এটা।”
“এটাই চাপের। সবাই মনে করে যে-ই এই জার্সি পরুক, পেলে যেটা করেছে তাকেও সেটা করতে হবে।”