আবাহনীর বিপক্ষে মধুর প্রতিশোধ নিয়ে ফাইনালে বসুন্ধরা কিংস

জিতুর শট ফেরানোর পর গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো নিজেই লক্ষ্যভেদ করলেন। আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষে মধুর প্রতিশোধ নিয়ে স্বাধীনতা কাপের ফাইনালে উঠল বসুন্ধরা কিংস।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Dec 2018, 02:23 PM
Updated : 20 Dec 2018, 02:23 PM

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ের খেলা ১-১ সমতায় শেষের পর টাইব্রেকারে ৭-৬ গোলে আবাহনীকে হারায় বসুন্ধরা। আগামী সোমবার শিরোপা লড়াইয়ে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের মুখোমুখি হবে তারা।

মৌসুমের প্রথম টুর্নামেন্ট ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনীর কাছে হেরেছিল বসুন্ধরা কিংস।

ম্যাচের প্রথম মিনিটে নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে চিজোবার কাছের পোস্টে নেওয়া শট ফিরিয়ে বসুন্ধরার ত্রাতা গোলরক্ষক জিকো। নয় মিনিট পর কেরভেন্স ফিলস বেলফোর্টের ক্রসে লাফিয়ে উঠেও হেড করতে ব্যর্থ দক্ষিণ কোরিয়ার ফরোয়ার্ড মিনহিয়োক কো। গোলশূন্য প্রথমার্ধে বসুন্ধরা কিংস তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি।

দ্বিতীয়ার্ধে আবাহনীর রক্ষণে চাপ বাড়াতে থাকে বসুন্ধরা কিংস। ৬২তম মিনিটে নবাগত দলটির ফরোয়ার্ড মতিন মিয়ার শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে যায়।

আট মিনিট পর সুযোগ কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যায় বসুন্ধরা। দেনিয়েল কলিনদ্রেস সোলেরার ব্যাক পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে মাহবুবুর রহমান সুফিল দ্রুত বল বাড়ান মতিনকে; নিখুঁত প্লেসিং শটে জাল খুঁজে নেন এই ফরোয়ার্ড।

৮২তম মিনিটে সমতার স্বস্তি ফেরে আবাহনী সমর্থকদের মুখে। আফগানিস্তানের ফরোয়ার্ড মাসিহ সাইঘানির লম্বা করে বাড়ানো ক্রস অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন হাইতির ফরোয়ার্ড বেলফোর্ট। নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ সমতায় শেষের পর গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেও কোনো দল গোল না পেলে ম্যাচের ভাগ্য গড়ায় টাইব্রেকারে।

টাইব্রেকারের প্রথম পাঁচ শটের মধ্যে আবাহনীর হয়ে লক্ষ্যভেদ করেন সাইঘানি, ওয়ালী ফয়সাল, রুবেল ও সানডে। বেলফোর্টের শট পোস্টে লেগে ফিরে।

বসুন্ধরা কিংসের বখতিয়ার দুইশবেকভ, মার্কোস দি সিলভা, হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ্বাস ও নাসিরউদ্দিন চৌধূরী লক্ষভেদের পর ম্যাচের শেষ টেনে দেওয়ার সুযোগ এসেছিল সোলেরার সামনে। কিন্তু কোস্টা রিকার এই ফরোয়ার্ডের শট ফিরিয়ে ৪-৪ সমতা রাখেন গোলরক্ষক শহীদুল ইসলাম সোহেল।

সাডেন ডেথে বসুন্ধরা কিংসের সঙ্গে পেরে ওঠেনি ১৯৯০ সালে প্রথম এবং সর্বশেষ স্বাধীনতা কাপের শিরোপা জেতা আবাহনী। প্রথম দুই শটে আবাহনীর রায়হান হাসান ও টুটুল হোসেন বাদশ লক্ষ্যভেদ করেন। বসুন্ধরা কিংসেন রোকোনুজ্জামান কাঞ্চন ও মাশুক মিয়া জনিও জাল খুঁজে নেন।

এরপর আবাহনীর ইমতিয়াজ সুলতান জিতুর শট দারুণ দক্ষতায় ফেরান শেখ রাসেল গোলরক্ষক জিকো। পরের শটে জিকোই শহীদুলকে পরাস্ত করলে মধুর প্রতিশোধ নিয়ে ফাইনালে উঠে যায় বসুন্ধরা কিংস।