২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত বার্সেলোনার দায়িত্বে থাকাকালে রিয়ালের সঙ্গে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার অভিজ্ঞতা হয়েছিল কাতালান ক্লাবটির হয়ে দুটি উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও তিনটি লা লিগাসহ মোট ১৪টি শিরোপা জেতা গুয়ার্দিওলার। কাম্প নউয়ে তার শেষ মৌসুম ২০১১-১২ -এ লিগ চ্যাম্পিয়ন হয় রিয়াল মাদ্রিদ।
২০১২ সালে বার্সেলোনা ছাড়ার পরের বছর বায়ার্ন মিউনিখে যোগ দেন গুয়ার্দিওলা। আর ২০১৬ সালে সিটির দায়িত্ব নেন তিনি। ৪৭ বছর বয়সী এই কোচের অধীনে গত মৌসুমে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ জেতার পাশাপাশি ১০০ পয়েন্ট অর্জনের রেকর্ড গড়ে সিটি।
প্রিমিয়ার লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা চলতি মৌসুমে ১৬ ম্যাচ শেষে আছে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে। শীর্ষে থাকা লিভারপুলের সঙ্গে পয়েন্ট ব্যবধান মাত্র এক। টটেনহ্যাম হটস্পার, চেলসি ও আর্সেনালও ভালোমতোই আছে শিরোপা লড়াইয়ে।
বার্সেলোনার লিগ শিরোপা জয়ের পথে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল রিয়াল মাদ্রিদ। বর্তমানে সিটির হয়ে প্রতিটি ম্যাচে ভালো করার চাপকে তার সঙ্গে তুলনা করেন তিনি।
“এটা অনেকটা একই রকম।… প্রতিটি ম্যাচে জয়ের চেষ্টা করা, এগিয়ে থাকা, মুহূর্তটা ধরে রাখার চেষ্টা করা। খেলোয়াড়রা তা জানে।”
“শুধু লিভারপুল নয়–চেলসি, টটেনহ্যাম, আর্সেনাল, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড আমাদের সঙ্গে যোগ দিতে পারে। আমরা শুরু থেকেই এটা জানতাম।…শুধু আমরা নই, অন্যরাও আছে। হয়তো আমরা কিছু পয়েন্ট হারাব।”
“তবে অনুভূতিটা একই রকম। মাদ্রিদ সবসময় বেশি চাইতো। আমাদের জিততেই হবে আর এটা আমরা জানতাম। আমরা রিয়াল মাদ্রিদের কাছে ম্যাচ হারতে পারি। কিন্তু অবশ্যই অন্যদের বিপক্ষে জিততেই হতো- নইলে শিরোপা জেতা হতো না-৯৯ পয়েন্ট, ৯৬ পয়েন্ট, অনেক পয়েন্ট।”