বুধবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ‘জি’ গ্রুপের ম্যাচে স্বাগতিকদের ৩-০ গোলে উড়িয়ে দেয় মস্কোর ক্লাবটি। ইউরোপীয় ফুটবলে ঘরের মাঠে রিয়ালের এটাই সবচেয়ে বড় ব্যবধানে পরাজয়। প্রথম লেগে মস্কোর মাঠে ১-০ গোলে হেরেছিল প্রতিযোগিতার সর্বোচ্চ ১৩ বারের চ্যাম্পিয়নরা।
বিরতির আগেই দুই গোল হজম করে অনেকটাই পিছিয়ে পড়ে সোলারির দল। দ্বিতীয়ার্ধে বেল, টনি ক্রুসদের বদলি হিসেবে নামালেও ভাগ্য বদলাতে পারেননি সোলারি। শেষ দিকে আরও এক গোল করে বড় জয় নিশ্চিত করে অতিথিরা।
গত এক দশকে প্রথম দল হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বে রিয়ালকে দুই লেগেই হারাল সিএসকেএ মস্কো। সবশেষ ২০০৮-০৯ মৌসুমে মাদ্রিদের ক্লাবটিকে এই তেতো স্বাদ দিয়েছিল ইউভেন্তুস। বেঞ্চের খেলোয়াড়দের সুযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্তটা কাজে আসেনি বলে মনে করেন সোলারি।
“আমি ফলাফলের জন্য দুঃখিত। আমরা ঝুঁকি নিলাম এবং ম্যাচটা অন্যরকম হতে পারত। অধিকাংশ সময়ই চাপ ধরে রাখার ওপর ফুটবল নির্ভর করে। আর আজকে (বুধবার) আমরা মাঠের কোনো প্রান্তেই ফল নির্ধারক হতে পারিনি।”
“কয়েকজন খেলোয়াড়কে কিছু খেলার সময় দিতে ম্যাচটা একটি সুযোগ ছিল। কারণ সাধারণত তারা মাঠে বেশি সময় পায় না বা তারা মাত্রই চোট থেকে ফিরেছে।”
“আমরা এমন একাদশ সাজানোর ঝুঁকিটা নিয়েছিলাম। আর আমি এর দায় নিচ্ছি।”
দুর্দান্ত এই জয়ের পরও ইউরোপের মঞ্চ থেকে ছিটকে পড়েছে সিএসকেএ মস্কো। আরেক ম্যাচে রোমাকে ২-১ গোলে হারিয়ে ইউরোপা লিগে জায়গা করে নিয়েছে চেক রিপাবলিকের ক্লাব ভিক্তোরিয়া প্লজেন। ৬ ম্যাচে ৪ জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ পর্ব শেষ করেছে রিয়াল মাদ্রিদ। নকআউট পর্বে তাদের সঙ্গী রোমার পয়েন্ট ৯।