হফেনহাইমকে হারিয়ে গ্রুপ সেরা সিটি

গ্রুপ সেরা হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোয় উঠতে ড্র যথেষ্ট ছিল ম্যানচেস্টার সিটির জন্য। লেরয় সানের জোড়া গোলে হফেনহাইমকে হারিয়েই সমীকরণ মিলিয়েছে পেপ গুয়ার্দিওলার দল।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Dec 2018, 10:05 PM
Updated : 12 Dec 2018, 11:14 PM

ইতিহাদ স্টেডিয়ামে বুধবার রাতে ‘এফ’ গ্রুপের ম্যাচে ২-১ গোলে জেতে সিটি। ছয় ম্যাচে চার জয় ও এক ড্রয়ে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ সেরা হয়েছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়নরা।

প্রথম লেগে হফেনহাইমের মাঠ থেকেও একই ব্যবধানে জয় নিয়ে ফিরেছিল গুয়ার্দিওলার শিষ্যরা।

নিজেদের মাঠে ম্যাচের ষোড়শ মিনিটে আন্দ্রেই ক্রামারিচের স্পট কিকে পিছিয়ে পড়ে সিটি। ডি-বক্সের মধ্যে ফরাসি ডিফেন্ডার এমেরিক লাপোর্ত হফেনহাইমের বেঞ্জামিন হুবেরকে ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি।

পিছিয়ে পড়ে একের পর এক আক্রমণ করতে থাকা সিটি গোল পাচ্ছিল না ভাগ্যের ফেরে। ১৯তম মিনিটে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড গাব্রিয়েল জেসুসের শট পোস্টে লাগে। ৩৪তম মিনিটে ইলকাই গিনদোয়ানের ফ্রি-কিকে নিকোলাস ওতামেন্দির হেডও বাধা পায় ক্রসবারে।

সিটি সমর্থকদের মুখে সমতার হাসি ফেরে প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে। ডি-বক্সের বাইরে থেকে জার্মানির মিডফিল্ডার সানের বাঁকানো ফ্রি-কিক অনেকটা লাফিয়ে উঠেও আটকাতে পারেননি গোলরক্ষক।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে আক্রমণ-প্রতিআক্রমণে দারুণ জমে ওঠে ম্যাচ। ৫৫তম মিনিটে গোলের সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন বের্নার্দ সিলভা। প্রতিআক্রমণে সিটির তিন জন খেলোয়াড় প্রতিপক্ষের গোলরক্ষককে একা পেয়েছিলেন। স্টার্লিং শট না নিয়ে বাড়ান বাঁ দিকে থাকা সানেকে, তিনিও শট না নিয়ে ছোট করে পাস দেন সিলভাকে; গোলরক্ষকের গায়ে মেরে সুযোগটি নষ্ট করেন পর্তুগিজ মিডফিল্ডার।

৬১তম মিনিটে আর হতাশ হতে হয়নি আগেই নকআউট পর্ব নিশ্চিত করা সিটির। স্টার্লিংয়ের কাছ থেকে ফিরতি বল পেয়ে বাঁ পায়ের নিখুঁত শটে জাল খুঁজে নেন সানে।

বাকিটা সময় ব্যবধান বাড়ানোর একাধিক সুযোগ পেলেও সিটি তা কাজে লাগাতে পারেনি। ফ্যাবিয়ান ডেলফ ও ফিল ফোডেন লক্ষ্যভ্রষ্ট শটে হতাশ করেন। ৮৫ তম মিনিটে সতীর্থের ক্রসে স্টার্লিংয়ের প্লেসিং শট দূরের পোস্ট দিয়ে বেরিয়ে যায়।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জার্মানির দলের বিপক্ষে এ নিয়ে টানা সাত ম্যাচ অপরাজিত থাকল সিটি। আগের ছয় ম্যাচে তাদের জয় পাঁচটি; অন্যটি ড্র।

অন্য ম্যাচে শাখতার দোনেৎস্কের মাঠ থেকে ১-১ ড্র নিয়ে ফেরা লিওঁ ৮ পয়েন্ট নিয়ে ‘এফ’ গ্রুপের রানার্সআপ হয়েছে। ৬ পয়েন্ট নিয়ে ইউরোপা লিগে জায়গা করে নিয়েছে শাখতার। হফেনহাইমের পয়েন্ট ৩।

‘ই’ গ্রুপে ছয় গোলের রোমাঞ্চ ছড়ানো আয়াক্স-বায়ার্ন মিউনিখের ম্যাচটি ৩-৩ সমতায় শেষ হয়েছে। ৬ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ সেরা হয়ে নকআউট পর্বে উঠেছে প্রতিযোগিতার পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন।

১২ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ রানার্সআপ হয়েছে আয়াক্স। নিজেদের মাঠে এইকে অ্যাথেন্সকে ১-০ গোলে হারিয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে ইউরোপা লিগে জায়গা করে নিয়েছে বেনফিকা। কোনো পয়েন্ট না পেয়েই বিদায় নিল অ্যাথেন্স।

আগেই ‘জি’ গ্রুপের শীর্ষস্থান নিশ্চিত করা রিয়াল মাদ্রিদ শেষ ম্যাচে সিএসকেএ মস্কোর কাছে ঘরের মাঠে ৩-০ গোলে হেরে গেছে। ৬ ম্যাচে ৪ জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ পর্ব শেষ করেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।

নকআউট পর্বে তাদের সঙ্গী রোমা অন্য ম্যাচে চেক রিপাবলিকের ক্লাব ভিক্তোরিয়া প্লজেনের কাছে ২-১ গোলে হেরেছে। গ্রুপ রানার্সআপ হওয়া রোমার পয়েন্ট ৯।

মস্কো ও প্লজেনের পয়েন্ট সমান ৭। তবে মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে ইউরোপা লিগের টিকেট পেয়েছে প্লজেন।

‘এইচ’ গ্রুপ থেকে আগেই নকআউট পর্ব নিশ্চিত করা ইউভেন্তুস ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড নিজেদের শেষ ম্যাচে হেরে গেছে। ফলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়নরা।

ইয়াং বয়েজের কাছে ২-১ গোলে হারা ইউভেন্তুসের পয়েন্ট ১২। আর ভালেন্সিয়ার কাছে একই ব্যবধানে হারা জোসে মরিনিয়োর ইউনাইটেডের পয়েন্ট ১০।

তৃতীয় হয়ে ইউরোপা লিগে জায়গা করে নেওয়া স্পেনের ক্লাব ভালেন্সিয়ার পয়েন্ট ৮। ইয়াং বয়েজের পয়েন্ট ৪।