বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শুক্রবার ৩-১ গোলে জেতা আরামবাগ দুই ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ সেরা হয়েছে।
টিম বিজেএমসিকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে মুকুট ধরে রাখার মিশন শুরু করেছিল আরামবাগ। নিজেদের প্রথম ম্যাচে বিজেএমসিকে ১-০ গোলে হারানো সাইফ স্পোর্টিং ৩ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ রানার্সআপ হয়েছে।
দুই দলের সেরা আটে খেলা আগেই নিশ্চিত হওয়ায় এ ম্যাচ ছিল গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াই।
প্রথমার্ধে আক্রমণে এগিয়ে ছিল আরামবাগ। ষষ্ঠ মিনিটে ক্যামেরুনের ফরোয়ার্ড এমিল ডি বক্সে ঠিকঠাক শট নিতে পারলে এগিয়ে যেতে পারত প্রতিযোগিতার বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
নবম মিনিটে নাইজেরিয়ার ফরোয়ার্ড চিনেডু ম্যাথিউ শট নিতে ব্যর্থ হন। ২৭তম মিনিটে গোলরক্ষক জিয়ার সোজা শট নিয়ে হতাশা আরও বাড়ান এমিল।
৩৭তম মিনিটে মারাজ হোসেনের শট পোস্টের ওপর দিয়ে গেলে সাইফ স্পোর্টিংয়ের প্রথম উল্লেখ করার মতো সুযোগটি নষ্ট হয়। পরের মিনিটে রাশিয়ার ফরোয়ার্ড দেনিস বলশেকভের শটও একইভাবে উড়ে যায়।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে পারভেজ মিয়ার লম্বা করে বাড়ানো বল বিপদমুক্ত করতে পারেননি ডিফেন্ডাররা। জোরালো শটে আরামবাগকে এগিয়ে নেন এমিল।
৬০তম মিনিটে এমিলের আড়াআড়ি বাড়ানো বলে মিডফিল্ডার শাহরিয়ার বাপ্পী টোকা দিতে ব্যর্থ হন। পরের মিনিটে আরিফুরকে আটকাতে পোস্ট ছেড়ে এগিয়ে আসেন গোলরক্ষক। নিজে শট না নিয়ে এই মিডফিল্ডার বল বাড়ান এমিলকে। ডান পায়ের নিখুঁত শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ক্যামেরুনের এই ফরোয়ার্ড।
৬৮তম মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে জামাল ভূইয়ার শট দূরের পোস্ট দিয়ে ঠিকানা খুঁজে পেলে ম্যাচে ফেরে সাইফ স্পোর্টিং।
৮১তম মিনিটে ডি বক্সের ভেতর থেকে সামনে থাকা দুই ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে দারুণ শটে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন এমিল। আরামবাগের জয়ও নিশ্চিত হয়ে যায় অনেকটা।