গত জুনে সুপার ফাইভের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল মোহামেডান ও মেরিনার্স। কিন্তু আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নিয়ে দফায় দফায় রিভিউ, খেলা বন্ধ থাকার পর শেষ পর্যন্ত ৪৪ মিনিটের পর আর খেলা হয়নি। ১-১ ড্র নিয়ে ম্যাচ গিয়েছিল ঝুলে। প্রায় পাঁচ মাস ঝুলে থাকার পর চলতি নভেম্বরের শুরুর দিকে ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটি মোহামেডানকে ২০১৮ সালের প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করে।
সোমবার নির্বাহী কমিটির সভায় ওই ম্যাচের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় মোহামেডানের কর্মকর্তা আরিফুল হক প্রিন্স, ম্যানেজার আসাদুজ্জামান চন্দন, মেরিনার্সের সাধারণ সম্পাদক হাসানউল্লাহ খান রানা ও কর্মকর্তা নজরুল ইসলামকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
প্রিন্স, চন্দন ও রানাকে পাঁচ বছরের জন্য বহিষ্কার ও এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। আর্থিক জরিমানা অনাদায়ে আরও দুবছর শাস্তির মেয়াদ বাড়বে। নজরুলকে তিন বছরের জন্য বহিষ্কার ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হওয়ায় টেকনিক্যাল কর্মকর্তা নাজিউর রহমানকে আগামী তিন বছরের জন্য হকির সব কর্মকাণ্ড থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেও সভা শেষে সাংবাদিকদের জানান ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাদেক।
“প্রত্যেকের বিপক্ষে নিয়ম ভাঙার অভিযোগ আছে। আম্পায়ারকে ভয়-ভীতি দেখানো, কর্মকর্তাদের গালিগালাজ ছিল উল্লেখযোগ্য। এটা সবাই জানে। আসলে সেদিন ছিল হকির কালো দিন। বাইলজ অনুযায়ী ফেডারেশন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”