বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শুক্রবার ফেডারেশন কাপের ফাইনালে পিছিয়ে পড়েও বসুন্ধরা কিংসকে ৩-১ গোলে হারায় আবাহনী। রেফারির শেষ বাঁশি বেজে ওঠার সঙ্গে কান্নায় ভেঙে পড়েন জাকারিয়া। পরে সাংবাদিকদের জানান চ্যালেঞ্জ জয়ের আনন্দে কেঁদে ফেলেছিলেন তিনি।
“আমি জানি না কেন কান্না এলো-আনন্দের কান্না বলতে পারেন। কোচিং ক্যারিয়ারে এটা আমার সর্বোচ্চ সাফল্য। আমি বলতে চাই-এটা প্রমাণ করে যে দেশি কোচরাও সাফল্য এনে দিতে পারে। এটা আমার জন্য চ্যালেঞ্জ ছিল। আমি চ্যালেঞ্জ জিতেছি।”
দেনিয়েল কলিনদ্রেস সোলেরার গোলে পিছিয়ে পড়ে বিরতিতে গিয়েছিল আবাহনী। দ্বিতীয়ার্ধে সানডে চিজোবার দুটি ও কেরভেন্স ফিলস বেলফোর্টের এক গোলে মুকুট ধরে রাখে দলটি। জাকারিয়া জানালেন ঘুরে দাঁড়ানোর আত্মবিশ্বাস ছিল তার।
“প্রথমার্ধে আমরা ৪-৫টা সুযোগ পেয়েছি; গোল হলে প্রথমার্ধ অন্যরকম হত। খেলার ধারার বিপরীতে বাজে গোল খেয়েছি। যে কারণে ছেলেরা একটু আপসেট হয়ে পড়েছিল; চিন্তিত হয়ে পড়েছিল। কিন্তু ছেলেদের বলেছি দুশ্চিন্তা না করে স্বাভাবিক খেলা খেলতে থাকো; তাহলে জিততে পারবে।”
শেষ দিকের হাতাহাতি-মারামারি ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ উল্লেখ করে নাবীব নেওয়াজ জীবনের লালকার্ড নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন আবাহনী কোচ।
“শেষ মুহূর্তের ঘটনা আসলে অনাকঙ্ক্ষিত। যেটা সানডের ক্ষেত্রে ঘটানো হয়েছে সেটা পরিকল্পিত। এরপর কিন্তু জীবনেরও লালকার্ড হয় না। জীবন আক্রমণে গেছে। ওকে কেন লালকার্ড দেওয়া হলো। আমরা এর জন্য স্বাধীনতা কাপে ভুগব।”
বসুন্ধরা কোচ অস্কার ব্রুসোন হারের কারণ হিসেবে দ্বিতীয়ার্ধের বাজে খেলার কথা জানান।
“আসলে দ্বিতীয়ার্ধে আমরা নিজেদের মান অনুযায়ী খেলতে পারিনি। আবাহনী আমাদের চেয়ে ভালো খেলেছে।”