এ বছর মোনাকো থেকে স্থায়ীভাবে পিএসজিতে যোগ দিয়ে ১৯ বছর বয়সী এমবাপে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দামি খেলোয়াড় হন। প্রতিবেদন অনুযায়ী তার ট্রান্সফার ফি ১৮ কোটি ইউরো।
এমবাপের পিএসজি সতীর্থ নেইমার বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুটবলার। ২০১৭ সালে ২২ কোটি ২০ লাখ ইউরো ট্রান্সফার ফিতে বার্সেলোনা থেকে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের পিএসজিতে যোগ দেওয়াটা ইউরোপিয়ান ফুটবলকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। এর পরের ১২ মাসে এমবাপের দলবদলসহ ট্রান্সফার ফি ১০ কোটি ইউরো পার হওয়ার ঘটনা ঘটেছে চারটি।
এ মাসে ফুটবল লিকসের তথ্য-উপাত্তের উপর ভিত্তি করে কয়েকটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পিএসজিতে পাঁচ বছরের চুক্তিতে যোগ দেওয়ার জন্য করের বাইরে সাড়ে ৫ কোটি ইউরোর কাছাকাছি পারিশ্রমিকসহ বিভিন্ন পারফরম্যান্স বোনাস চেয়েছিলেন এমবাপে। কিন্তু পিএসজি সে দাবি মেনে নেয়নি।
অর্থের ঝনঝনানি ‘অশোভন’ মনে করলেও আরটিএসকে আধুনিক ফুটবলের বাস্তবতার কথাও জানান এমবাপে।
“এটা সত্যিই আমার জন্য অশোভন, যে কিনা উঠে এসেছে প্রায় মধ্যবিত্ত একটি পরিবার থেকে।”
“এটা সত্য যে এটা অশোভন কিন্তু বাজারটাই এরকম। বিশ্ব ফুটবল এভাবেই কাজ করে।”
“আমি ফুটবল বিপ্লব করতে যাচ্ছি না। আমি একটা সিস্টেমের মধ্যে আছি। আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে কিভাবে এটাকে শ্রদ্ধা করতে হবে এবং এর মধ্যে থাকতে হবে।”
ব্রাজিল কিংবদন্তি পেলের সঙ্গে তুলনার প্রসঙ্গটি পাশ কাটিয়ে এমবাপে জানিয়েছেন নিজের ইতিহাস নিজের মতো করেই গড়তে চান তিনি।
“কিংবদন্তিদের মতো আমি নিজের গল্প নিজেই লিখতে চাই; কারো কপি হতে চাই না।”