বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সোমবার ‘ডি’ গ্রুপের ম্যাচটি ৫-২ গোলে জেতে বসুন্ধরা।
ম্যাচের সপ্তম মিনিটে গোলরক্ষককে একা পেয়েও তালগোল পাকিয়ে সুযোগ নষ্ট করেন বসুন্ধরার কোস্টা রিকার ফরোয়ার্ড দেনিয়েল কলিনদ্রেস সোলেরা।
অষ্টাদশ মিনিটে ল্যান্ডিং ডারবোর গোলে এগিয়ে যায় মোহামেডান। বাঁ দিক দিয়ে ডি বক্সে ঢুকে কিংসলে চিগোজির বাড়ানো বল এক ডিফেন্ডারের পায়ে লাগার পর পেয়ে যান দূরের পোস্টে থাকা ডারবো। ফাঁকা পোস্টে সহজেই সুযোগ কাজে লাগান গাম্বিয়ার এই মিডফিল্ডার।
তিন মিনিট পর পোস্টের বাধায় সমতায় ফেরা হয়নি বসুন্ধরার। ডি-বক্সের একটু ওপর থেকে ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার মার্কোস সিলভার নেওয়া ছোট ফ্রি কিক সোলেরা থামিয়ে দেওয়ার পর সিলভার শট দূরের পোস্টে লেগে ফিরে।
২৮তম মিনিটে মোহাম্মদ ইব্রাহিমকে ডি বক্সের মধ্যে মিন্টু শেখ ফাউল করলে পেনাল্টি পায় বসুন্ধরা। সফল স্পট কিকে দলকে সমতায় ফেরান সোলেরা।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে সোলেরার বাড়ানো বল ধরে একা গোলরক্ষক আহসান হাবিব বিপুর গায়ে মেরে সুযোগ নষ্ট করেন সিলভা।
৬৬তম মিনিটে চিগোজিকে ডি-বক্সের মধ্যে মিতুল ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। ডারবোর লক্ষ্যভেদে এগিয়ে যায় মোহামেডান। পাঁচ মিনিট পর স্পেনের হোর্হে গতোর ব্লাসের জোরালো শটে সমতায় ফেরে বসুন্ধরা।
একটু পর তকলিস আহমেদ দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে দশ জনের দলে পরিণত হয় মোহামেডান। এরপর খেই হারিয়ে ফেলে দলটি। ৭৮তম মিনিটে ইব্রাহিমের আড়াআড়ি পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডি বক্সে ঢুকে কোনাকুনি শটে বসুন্ধরাকে এগিয়ে নেন মতিন মিয়া।
দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে দুই গোল করে বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বসুন্ধরা। সতীর্থের লম্বা করে বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে গোলরক্ষককে একা পেয়েও নিজে শট না নিয়ে সিলভাকে দিয়ে গোল করান সোলেরা। এরপর মোহামেডানের কফিনে শেষ পেরেকটিও ঠুকে দেন ব্রাজিলের এই মিডফিল্ডার।