‘সি’ গ্রুপে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচটি ২-২ ড্র করেছে পিএসজি। তিন ম্যাচে একটি করে জয়, হার ও ড্র টমাস টুখেলের দলের।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে কখনও ইতালির দলের বিপক্ষে জিততে না পারার বৃত্তেই থাকল পিএসজি। এর আগে ১৯৯৪-৯৫ মৌসুমের সেমি-ফাইনালে দুই লেগে এসি মিলানের কাছে হেরেছিল তারা। এরপর ২০০০-০১ মৌসুমে গ্রুপে পর্বে দুইবার ড্র করেছিল মিলানের সঙ্গে।
নিজেদের মাঠে বুধবার রাতে ম্যাচের সপ্তম মিনিটে কাভানির শট কাছের পোস্টে লক্ষ্যে থাকেনি। দশ মিনিটে পর উরুগুয়ের এই ফরোয়ার্ডের আরেকটি প্রচেষ্টা রুখে দেন গোলরক্ষক দাভিদ অসপিনা।
পাঁচ মিনিট পরে পাওয়া সুযোগ কাজে লাগিয়ে নাপোলিকে এগিয়ে নেন লরেনসো ইনসিনিয়ে। ডান দিক থেকে হোসে কায়েহনের বাড়ানো ক্রস অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে চিপ করে গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন ইতালির এই ফরোয়ার্ড।
৩৭তম মিনিটে অসপিনার দৃঢ়তায় সমতায় ফেরার সেরা সুযোগটি নষ্ট হয় লিগ ওয়ানে উড়তে থাকা পিএসজির। একাধিক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে নেইমারের বাড়ানো বলে রাশিয়া বিশ্বকাপের সেরা উদীয়মান খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতা এমবাপের শট শেষ মুহূর্তে পা দিয়ে আটকান গোলরক্ষক।
ফরোয়ার্ড কাভানিকে তুলে ৭৭তম মিনিটে ইউলিয়ান ড্রাক্সলারকে নামান পিএসজি কোচ। পরক্ষণেই ফের এগিয়ে যায় নাপোলি। রুইয়ের শট মার্কিনিয়োসের গায়ে লাগার পর তার পাশেই থাকা মের্টেন্স সুযোগটা দারুণভাবে কাজে লাগান।
৮১তম মিনিটে অসপিনার দারুণ সেভে এগিয়ে থাকে নাপোলি। নেইমারের প্রথম দফার ফ্রি কিক কায়েহনের হাতে লাগলে ডি-বক্সের একটু ওপরে ফের ফ্রি-কিক পায় পিএসজি। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের আবার নেওয়া ফ্রি-কিক দুর্দান্তভাবে ফেরান গোলরক্ষক।
গ্রুপের অন্য ম্যাচে রেড স্টার বেলগ্রেডকে ৪-০ ব্যবধানে হারানো লিভারপুল ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে।
৫ পয়েন্ট নিয়ে নাপোলি দ্বিতীয় ও ৪ পয়েন্ট নিয়ে পিএসজি তৃতীয় স্থানে আছে।