তাজিকিস্তানে চ্যালেঞ্জ জিততে উন্মুখ বাংলাদেশের মেয়েরা

গ্রুপের তিন প্রতিপক্ষই শক্তিশালী। তবে দক্ষিণ কোরিয়া, চাইনিজ তাইপে ও স্বাগতিক তাজিকিস্তানকে সমীহ করে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৯ মহিলা ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইয়ের চ্যালেঞ্জ জিততে উন্মুখ হয়ে আছে বাংলাদেশ। কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনও প্রত্যয়ী কণ্ঠে জানিয়েছেন তাজিকিস্তানে ভালো ফল পাওয়ার আশাবাদ।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Oct 2018, 12:59 PM
Updated : 18 Oct 2018, 12:59 PM

অনূর্ধ্ব-১৯ মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাই খেলতে শুক্রবার ভোরে তাজিকিস্তান রওনা দেবে দল। ২৪ অক্টোবর দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে খেলবে প্রথম ম্যাচ। ‘ডি’ গ্রুপে বাকি দুই ম্যাচে ২৬ অক্টোবর চাইনিজ তাইপে ও ২৮ অক্টোবর তাজিকিস্তানের বিপক্ষে খেলবে মেয়েরা।

বাছাইয়ে খেলা ছয় গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও সেরা দুই রানার্সআপকে নিয়ে হবে বাছাইয়ের দ্বিতীয় রাউন্ড। সেখান থেকে চার দল পাবে ২০১৯ সালে থাইল্যান্ডে হতে যাওয়া মূল পর্বের টিকেট। দক্ষিণ কোরিয়াকে ‘সম্ভাব্য’ গ্রুপ সেরা ধরে ছক কষছেন রব্বানী।

"দক্ষিণ কোরিয়া গ্রুপের সবচেয়ে শক্তিশালী দল। বাকিরাও শক্তিশালী। কঠিন চ্যালেঞ্জ হবে। তবে মেয়েরা যদি মনে করে তারা পারবে, তাহলে আমার বিশ্বাস ভালো কিছু হবে। ভুটানে প্রতিযোগিতামূলক খেলা দলকে বাড়তি অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছে। মেয়েরা প্রস্তুত।"

"ভুটান থেকে ফেরার পর একদিন বিশ্রাম নিয়ে ১০ অক্টোবর থেকে মেয়েরা নিয়মিত অনুশীলন করেছে। আঁখি খাতুনের চোখে, শিউলি আজিমের মাংশপেশিতে হালকা চোট ছিল, সেটা ঠিক হয়ে গেছে। দলের ২৩ জনই ফিট আছে।"  

সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপে সেরা হওয়া দলের ১২ জন আছে তাজিকিস্তানগামী দলে। চোটের কারণে ভুটানে সাফ অনূর্ধ্ব-১৮ শিরোপা জেতা দলে না থাকা নার্গিস ফিরেছেন। তবে এসএসসি পরীক্ষার কারণে ফরোয়ার্ড সাজেদা আক্তারের তাজিকিস্তানে যাওয়া হচ্ছে না।

বয়সভিত্তিক এই পর্যায়ে ২০০৪ ও ২০১৩ সালের চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ কোরিয়া। চাইনিজ তাইপে ২০০২ সালের রানার্সআপ। অন্যদিকে বাংলাদেশ কখনও বাছাই পর্ব পেরুতে পারেনি। অধিনায়ক মিশরাত জাহান মৌসুমী বৃহস্পতিবারের সংবাদ সম্মেলনে জানালেন শক্তিশালী প্রতিপক্ষের সঙ্গে লড়াই করে মূল পর্বে যাওয়ার আশাবাদ।

"যাদের সঙ্গে আমাদের প্রথম খেলা (দক্ষিণ কোরিয়া) তারা চ্যাম্পিয়ন। তাদের সঙ্গে লড়াই করার চেষ্টা করব; সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করব। আর চাইনিজ তাইপে ও তাজিকিস্তানের বিপক্ষে জয়ের চেষ্টা করব, যাতে আমরা পরের রাউন্ডে যেতে পারি।"

সহ-অধিনায়ক মারিয়া মান্ডাও সুর মেলালেন মৌসুমীর সঙ্গে, “সাফ অনূর্ধ্ব-১৮ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর আমরা ভালো প্রস্তুতি নিয়েছি। গ্রুপের তিনটা দলই শক্তিশালী কিন্তু আমরা ভালো ফল পাওয়ার চেষ্টা করব।”