সৌদি আরবের জেদ্দায় মঙ্গলবার রাতে প্রীতি টুর্নামেন্টে ম্যাচটি ১-০ গোলে জিতেছে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
ম্যাচের প্রথমার্ধে বল দখলের লড়াইয়ে অনেকটাই এগিয়ে ছিল ব্রাজিল। প্রথম সুযোগটি অবশ্য পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। ডি-বক্সের ঠিক বাইরে থেকে পিএসজি থেকে রিয়াল বেতিসে ধারে খেলা মিডফিল্ডার জিওভানি লো সেলসোর শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
গোলরক্ষক আলিসনের ভুলে ২২তম মিনিটে গোল খেতে বসেছিল ব্রাজিল। সতীর্থের ব্যাকপাস ছোট ডি-বক্সে বিপদমুক্ত করতে দেরি করেন আলিসন। সেই সুযোগে ছুটে এসে চ্যালেঞ্জ জানান আনহেল কোররেয়া। শেষ মুহূর্তে বল লিভারপুল গোলরক্ষকের বাড়িয়ে দেওয়া পায়ে লাগলে সে যাত্রায় বেঁচে যায় ব্রাজিল।
২৮তম মিনিটে আর্জেন্টিনার ত্রাতা নিকোলাস ওতামেন্দি। কাসেমিরোর ক্রসে মিরান্দার শট গোল লাইন থেকে ফিরিয়ে দেন ম্যানচেস্টার সিটির এই ডিফেন্ডার। পরের মিনিটে একটুর জন্য লক্ষ্যে থাকেনি পাওলো দিবালার ফ্রি-কিক।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন ব্রাজিলের ম্যানচেস্টার সিটির ডিফেন্ডার দানিলো। কিছুক্ষণ পর কয়েক মিনিটের মধ্যে ব্রাজিলের দুই ও আর্জেন্টিনার তিন খেলোয়াড় হলুদ কার্ড দেখেন। এর মধ্যে ছিলেন নেইমারও।
৭০তম মিনিটে নেইমারের ফ্রি-কিকে অরক্ষিত আর্থার মেলোর ভলি ঠেকিয়ে দেন সের্হিও রোমেরো। সাত মিনিট পর বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুটবলারের আরেকটি ফ্রি-কিক রক্ষণ দেয়ালে বাধা পায়।
৮৪তম মিনিটে কাসেমিরোর ফ্রি-কিক এক জনের গায়ে লেগে জালে ঢুকতে যাচ্ছিল। একটুর জন্য বেঁচে যায় আর্জেন্টিনা।
যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে রিশার্লিসনের শট ঠেকাতে গিয়ে উল্টো নিজেদের জালে পাঠিয়ে দিচ্ছিলেন ওতামেন্দি। এবারও অল্পের জন্য বেঁচে যায় আর্জেন্টিনা।
আর্জেন্টিনার বিপক্ষে শেষ পাঁচ ম্যাচে ব্রাজিলের এটি তৃতীয় জয়। গত বছর জুনে মেলবোর্নে আগের মুখোমুখি লড়াইয় ১-০ গোলে জিতেছিল আর্জেন্টিনা। অন্যটি ড্র।
রাশিয়া বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে বেলজিয়ামের কাছে হেরে ছিটকে যাওয়ার পর চার ম্যাচ খেলে সবকটিতেই জিতল ব্রাজিল। আর বিশ্বকাপের পর আর্জেন্টিনার এটা প্রথম হার। আগের তিন ম্যাচের দুটিতে জিতেছিল রাশিয়া টুর্নামেন্টে শেষ ষোলোয় খেলা দুবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।