স্পেনকে হারিয়ে মধুর প্রতিশোধ ইংল্যান্ডের

স্পেনের কাছে গত মাসে ঘরের মাঠে হারতে হয়েছিল ইংল্যান্ডকে। ২০১০ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের এবার তাদেরই মাঠে হারিয়ে মধুর প্রতিশোধ নিয়েছে গ্যারেথ সাউথগেটের দল।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Oct 2018, 08:41 PM
Updated : 15 Oct 2018, 09:13 PM

সেভিয়ায় সোমবার রাতে উয়েফা নেশন্স লিগের ম্যাচটি ৩-২ গোলে জিতেছে ইংল্যান্ড। গত মাসে নিজেদের প্রথম ম্যাচে লুইস এনরিকের দলের কাছে ঘরের মাঠে ২-১ গোলে হেরেছিল সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।

বিশ্বকাপে হতাশাজনক বিদায়ের পর তিন ম্যাচের সবকটিতে জেতা স্পেন পঞ্চম মিনিটেই গোল পেতে পারতো। কর্নারে মার্কোস আলোনসোর হেড গোললাইন থেকে জর্ডান পিকফোর্ড কোনোমতে ফেরালে বেঁচে যায় ইংল্যান্ড।

এরপর পাল্টে যেতে থাকে ম্যাচের চিত্র। প্রথমার্ধেই তিন গোল করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় রাশিয়া বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালিস্টরা। 

দুর্দান্ত এক প্রতি-আক্রমণে ষোড়শ মিনিটে এগিয়ে যায় অতিথিরা। আক্রমণ রুখে পিকফোর্ড বল বাড়ান হ্যারি কেইনকে। টটেনহ্যাম হটস্পারের কাছ থেকে বল পেয়ে মার্কাস র‌্যাশফোর্ড দ্রুত পাস দেন রাহিম স্টার্লিংকে। প্রথম ছোঁয়ায় বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে বুলেট গতির শটে গোলটি করেন ম্যানচেস্টার সিটি মিডফিল্ডার।

তিন বছর ও ২৭ ম্যাচ পর জাতীয় দলের হয়ে আবারও গোল করলেন স্টার্লিং।

শুরু থেকে লম্বা পাসে খেলা ইংলিশদের ব্যবধান দ্বিগুণ করা গোলটিও আসে পাল্টা-আক্রমণে। ২৯তম মিনিটে পিকফোর্ডের উঁচু করে বাড়ানো বল ধরে কেইন বাড়ান র‌্যাশফার্ডকে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ফরোয়ার্ড প্রথম ছোঁয়ায় বল নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে জোরালো শটে জাল খুঁজে নেন।

দুই গোলের ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগেই তৃতীয়বার নিজেদের জাল থেকে বল কুড়িয়ে আনতে হয় স্বাগতিকদের। ৩৮তম মিনিটের গোলেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল রাশিয়া বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতা কেইনের। ডান দিক থেকে তার গোলমুখে বাড়ানো বল টোকা দিয়ে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন স্টার্লিং। দেশের পক্ষে এটা তার চতুর্থ গোল।

৫৮তম মিনিটে ব্যবধান কমিয়ে লড়াইয়ে ফেরার আভাস দেয় স্পেন। রিয়াল মাদ্রিদ মিডফিল্ডার মার্কো আসেনসিওর কর্নারে দারুণ হেডে গোলটি করেন আগের মিনিটেই বদলি নামা পাকো আলকাসের।

পাঁচ মিনিট পর পিকফোর্ডের ভুলে ফের গোল খেতে যাচ্ছিল ইংল্যান্ড। তার কাছ থেকে বল কেড়ে নেন রদ্রিগো। ভালেন্সিয়া ফরোয়ার্ডকে পেছন থেকে এভারটন গোলরক্ষক বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে পেনাল্টির জোরালো আবেদন করে স্পেন। তবে রেফারির সাড়া মেলেনি।

শেষ দিকে একের পর এক আক্রমণ করতে থাকা স্পেন নির্ধারিত সময়ের শেষ ১০ মিনিটে দারুণ দুটি সুযোগ পায়। কিন্তু আসেনসিওর জোরালো শট পোস্ট ঘেঁষে চলে যাওয়ার পর গোলমুখে বলে পা লাগাতেই পারেননি বদলি নামা আলভারো মোরাতা।

নাটকীয়তার তখনও ঢের বাকি। সাত মিনিট যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটে আসেনসিওর হেড ক্রসবারের নিচের দিকে লেগে ফেরে। পরের মিনিটে রিয়াল মিডফিল্ডার দানি সেবাইয়োসের ক্রসে হেড করে ব্যবধান আরও কমান সের্হিও রামোস। কিন্তু এরপর আর কোনো সময়ই ছিল না বল মাঠে গড়ানোর।

১৫ বছর পর ঘরের মাঠে কোনো প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে হারলো স্পেন। ২০০৩ সালে গ্রিসের কাছে হারের পর ৩৮ ম্যাচ অপরাজিত ছিল তারা। আর ৩১ বছর পর স্পেনের মাঠে প্রথম জয়ের দেখা পেল ইংল্যান্ড।

তিন ম্যাচে দুই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ‘এ’ লিগের গ্রুপ-৪ এ শীর্ষে আছে স্পেন। প্রথম জয় পাওয়া ইংল্যান্ড ৪ পয়েন্ট নিয়ে আছে দ্বিতীয় স্থানে। দুই ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার পয়েন্ট ১।