ভুটানের চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে শুক্রবার সেমি-ফাইনালে স্বাগতিকদের ৪-০ গোলে হারায় বাংলাদেশ। আগামী রোববার শিরোপা লড়াইয়ে নেপালের মুখোমুখি হবে দল। গ্রুপ পর্বে নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়েছিল রব্বানীর শিষ্যরা।
ম্যাচের শুরুতে এগিয়ে যাওয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুণ করা গোল পেতে বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হয় প্রথমার্ধের যোগ করা সময় পর্যন্ত। দ্বিতীয়ার্ধে কৃষ্ণা রানী সরকার ও শামসুন্নাহার সিনিয়রের গোলে জয় নিশ্চিত হয়।
ম্যাচ শেষের প্রতিক্রিয়ায় রব্বানী বলেন, “আজ আমাদের দ্রুত গোল পাওয়া দরকার ছিল। সেটা আমরা পেয়েছি। তবে গোল পাওয়ার পর মেয়েরা একটু চাপ নিয়ে ফেলেছিল। এ কারণে তারা মিনিট বিশেক নিজেদের খেলার বাইরে ছিল। এরপর খেলা পুরো নিয়ন্ত্রণ করেছে। আমি মনে করি, মেয়েরা পুরো ম্যাচে আধিপত্য করেছে।”
নেপালের বিপক্ষে ফাইনালে দলের খেলা আরও ভালো হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন বাংলাদেশ কোচ।
“নেপাল ম্যাচে মেয়েদের খেলা বদলে যাবে। কেননা আজ মেয়েরা স্থানীয় দর্শকের সামনে খেলেছে। চাপ ছিল।”
হালকা চোটের কারণে ভুটানের বিপক্ষে খেলেননি পাকিস্তানের বিপক্ষে ছয় গোল করা সিরাত জাহান স্বপ্না। ফাইনালে এই ফরোয়ার্ডকে পাওয়া যাবে বলেও জানান রব্বানী।
“স্বপ্না থাকলে আমাদের খেলায় আরও গতি থাকত। আসলে স্বপ্নাকে বিশ্রাম দেওয়া জরুরি দরকার ছিল। তার হালকা চোট ছিল। সে পুরোপুরি ফিট নয়। তবে তাকে আমরা ফাইনালে পাব। তবে এই দলে যারা আছে তাদের মধ্যে সামর্থ্যের ব্যবধান ১৯-২০। এটা তারা প্রমাণ করেছে ভুটানের বিপক্ষে।”