সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে শুক্রবার ১-০ গোলে হারে বাংলাদেশ। টানা দুই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ সেরা হলো ফিলিপিন্স। একটি করে জয়, হারে ৩ পয়েন্ট নিয়ে রানার্সআপ হয়ে সেমি-ফাইনালে উঠল জেমি ডের দল।
ওয়ালী ফয়সাল, বিশ্বনাথ ঘোষ, জামাল ভূইয়া, মাহবুবুর রহমান সুফিলের জায়গায় সুশান্ত ত্রিপুরা, রহমত মিয়া, মামুনুল ইসলাম ও তৌহিদুল আলম সবুজ-এই চার পরিবর্তন এনে ম্যাচের একাদশ সাজান কোচ।
তৃতীয় মিনিটে রহমতের লম্বা থ্রো ইনে গোলরক্ষক ফেরানোর পর নাবীব নেওয়াজ জীবনের ফিরতি হেড ক্রসবারে লেগে ফিরে। একটু পর রবিউল হাসানের শটও সোজা গোলরক্ষকের কাছে যায়।
ফিলিপিন্স ম্যাচে ডিফেন্ডারদের জন্য কঠিন পরীক্ষা হবে বলে আগেই সতর্ক করেছিলেন বাংলাদেশ কোচ। ২৩তম মিনিটে দল পিছিয়েও পড়ল সেই রক্ষণের ভুলেই। তপু বুক দিয়ে বল নামিয়ে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি। তার সামনে থেকে বল নিয়ে বাহাদোরান মিসাঘ বাড়ান মিকেল ড্যানিয়েলসকে। ফিলিপিন্সের এই মিডফিল্ডারের শটে বল কাছের পোস্ট দিয়ে ঠিকানা খুঁজে পায়।
বিরতির আেগ ডান দিক থেকে রবিউলের নেওয়া কর্নার বাঁক খেয়ে গোলে ঢোকার আগ মুহূর্তে গোলরক্ষক ফেরালে সমতায় ফেরা হয়নি বাংললাদেশের। ৪৮তম মিনিটে রবিউলের থ্রো ইনে তপুর ব্যক হেড ঠিকানা খুঁজে পায়নি। দুই মিনিট পর ডান দিক দিয়ে এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ডি বক্সের ঢুকে নিজে শট না নিয়ে উদ্দেশ্যহীনভাবে বল বাড়িয়ে ভালো একটি সুযোগ নষ্ট করেন জীবন।
দুই দলের সেমি-ফাইনাল নিশ্চিত হয়েছিল আগেই। তবে গ্রুপ সেরা হতে বাংলাদেশের সামনে জয়ের বিকল্প ছিল না। তাই পিছিয়ে পড়া দল সমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে ফিলিপিন্সের রক্ষণে চাপ বাড়াতে থাকে। ৭০তম মিনিটে ডান দিক থেকে সবুজের নিখুঁত ক্রসে ছোট ডি বক্সের একটু ওপর থেকে জীবনের নেওয়া হেড অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এরপর ইমনের কর্নারের পর ডি-বক্সের জটলার মধ্যে থেকে সবুজের শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে যায়।
৮৫তম মিনিটে ইব্রাহিমের ক্রসে জাভেদ খানের হেড সোজা গোলরক্ষকের গ্লাভসে জমে যায়। বাকিটা সময়ে পুরোপুরি রক্ষণাত্মক হয়ে ওঠা ফিলিপিন্সের জালের নাগাল পায়নি বাংলাদেশ্
দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে কর্নার আটকাতে পোস্ট ছেড়ে পুরোপুরি বেরিয়ে আসেন গোলরক্ষক। কিন্তু ইব্রাহিম ঠিকঠাক শট নিতে পারেননি; এরপর তপু হেড করলেও পোস্টে ফেরা গোলরক্ষক সহজেই বল গ্লাভসে নেন।