ক্যাথরিন মায়োরগা নামে যুক্তরাষ্ট্রের এক নারীর অভিযোগ, ২০০৯ সালে রোনালদো তাকে লাস ভেগাসের একটি হোটেল কক্ষে ধর্ষণ করেছিলেন। ওই নারীর অনুরোধে ঘটনাটি নিয়ে পুনরায় তদন্ত শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসের পুলিশ।
৩৩ বছর বয়সী ইউভেন্তুস তারকা জানিয়েছেন, এ বিষয়ে ‘যেকোনো ও সব ধরনের তদন্ত’ নিয়ে পুরোপুরি শান্ত আছেন তিনি। কারণ, মায়োরগার অভিযোগের বিষয়ে তিনি নিজের বিবেকের কাছে পুরোপুরি পরিষ্কার।
জার্মান সাময়িকী ডের স্পিগেলে এই অভিযোগের খবর প্রথম ছাপা হলে গত রোববার তা ‘ভুয়া’ বলে উড়িয়ে দেন রোনালদো। সাময়িকীটির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান তার আইনজীবীরা।
ডের স্পিগেল জানায়, ঘটনাটি ঘটার পর অল্প সময়ের মধ্যেই মায়োরগা লাস ভেগাসের পুলিশকে তা জানিয়েছিলেন।
বুধবার বিষয়টি নিয়ে এক টুইটে আবারও নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেন রোনালদো।
“আমার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগটি আমি দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখান করছি। ধর্ষণ জঘন্য একটি অপরাধ যা সবকিছুকে ছাড়িয়ে যায়, আমি এটাই বিশ্বাস করি।”
তদন্তে সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে বিশ্বাস করেন রোনালদো। তার নাম ব্যবহার করে কিছু মানুষ নিজেদের প্রচার করতে চাচ্ছে বলে আবারও টুইট বার্তায় জানান পর্তুগাল অধিনায়ক।
জার্মান সাময়িকীর প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, ২০১০ সালে আদালতের বাইরে রোনালদোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে একটি সমঝোতায় পৌঁছান মায়োরগা। তিন লাখ ৭৫ হাজার ডলারের বিনিময়ে কখনও এই অভিযোগ প্রকাশ না করার ব্যাপারে রাজি হন তিনি।
মায়োরগার আইনজীবীরা এখন ঘটনাটি জনসম্মুখে না আনার চুক্তি বাতিল ঘোষণা করতে চাইছে।