ফিলিপিন্সের বিপক্ষে ম্যাচে ঝুঁকিহীন খেলার লক্ষ্য বাংলাদেশের

এক দিনের বিশ্রাম কাটিয়ে পুরোদমে অনুশীলনে ফিরেছে দল। সিলেট বিকেএসপির মাঠে সকালের অনুশীলনে গোলরক্ষক ও ডিফেন্ডারদের নিয়ে আলাদাভাবে কাজ করেছেন কোচ। দলের নির্ভরযোগ্য ডিফেন্ডার তপু বর্মনও জানালেন, ফিলিপিন্স ম্যাচে ঝুঁকিহীন খেলার কৌশল রপ্ত করছেন তারা।

মোহাম্মদ জুবায়েরমোহাম্মদ জুবায়েরসিলেট থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Oct 2018, 11:23 AM
Updated : 3 Oct 2018, 11:23 AM

বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপে নিজেদের শেষ ম্যাচে আগামী শুক্রবার ফিলিপিন্সের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ফিফার র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের (১৯৩তম) চেয়ে অনেক এগিয়ে আছে ফিলিপিন্স (১১৪তম)। প্রতিপক্ষকে শক্তিশালী মেনে তাই গোলকিপিং ও ডিফেন্সে জোর দিচ্ছেন কোচ জেমি ডে।

লাওস ম্যাচে তপু বর্মন-ওয়ালী ফয়সাল-বিশ্বনাথ ঘোষ-টুটুল হোসেন বাদশায় গড়া রক্ষণভাগ প্রতিপক্ষের ফরোয়ার্ডদের আটকে রেখেছিল ভালোভাবেই। ফিলিপিন্স ম্যাচে কাজটা কঠিন হবে জেনে তপু জানালেন লাওসের বিপক্ষে করা ছোটখাট ভুলও করতে চান না তারা।

“প্রথমে আমাদের লক্ষ্য ঝুঁকিমুক্ত ফুটবল খেলা। গত ম্যাচে ছোট-খাট ভুল ছিল, সেগুলো নিয়ে কাজ হয়েছে। ডিফেন্সের একটাই কাজ হবে আমরা কোনো ঝুঁকি নিব না। মাঝ দিয়ে আমরা আর কোনো পাস যেতে দিব না। সব মিলিয়ে গোলরক্ষক ও আমাদের মধ্যে ভালো একটা সমন্বয় থাকবে।”

সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে দুই গোল করা তপু জানালেন রক্ষণ সামলে সুযোগ পেলে কাজে লাগাতে চান তিনি।

“প্রথমত আমার কথা, আমি ডিফেন্স করব। গোলপোস্ট আগলে রাখব। এরপর সেট পিসে যাব; যদি গোল করতে পারি তাহলে সেটা দলের জন্যে ভালো। আমার জন্যও ভালো।”

লাওস ম্যাচে সে অর্থে কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হয়নি গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানাকে। ৩৬তম মিনিটে ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রতিপক্ষের উল্লেখ করার মতো একমাত্র আক্রমণে সামলেছিলেন তিনি। ফিলিপিন্স ম্যাচের কঠিন পরীক্ষার প্রস্তুতি তাই বাড়তি মনোযোগী রানা।

“শুরুতে আমাদের লক্ষ্য ছিল আমরা ক্লিন শিট নিয়ে ফিরব। ৯০ মিনিটের মধ্যে সুযোগ আসবে এবং সুযোগ পেলে সেটা কাজে লাগাব। প্রথম ম্যাচে আমাদের সে লক্ষৗ পূরণ হয়েছে। তবে গত ম্যাচে আমার দুই-তিনটা ছোট ছোট ভুল হয়েছে। কোচের সঙ্গে এটা নিয়ে কথা হয়েছে। আমি নিজেও ম্যাচের ভিডিও দেখেছি। মূলত সেইগুলো নিয়ে আজ সকালে কাজ করেছি।”

“টিমের অনেক কিছু গোলকিপারের ওপর নির্ভর করে। আমাদের ফুটবলের প্রেক্ষাপটে আমি মনে করি, গোলকিপার এবং ডিফেন্ডাররা যদি ভালো করে, তাহলে দলও ভালো কিছু পেতে পারে। এই ডিফেন্ডারদের সঙ্গে কোরিয়াতে আটটা ম্যাচ খেলেছি। এই দলে ওয়ালী ভাই এসেছে। তিনি অভিজ্ঞ। তো সব মিলিয়ে ডিফেন্স ভালো।”

গত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে নেপালের বিপক্ষে ম্যাচে বলের ফ্লাইট মিস করে দলকে ডুবিয়েছিলেন গোলরক্ষক শহীদুল আলম সোহেল। বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপের দলে তার ঠাঁই মেলেনি। পোস্টের নিচে ফেরা রানা জানালেন শহীদুলের ভুল করতে চান না; খেলতে চান নির্ভার থেকে।

“শুরু থেকে আমার ওপর কোনো চাপ ছিল না এবং আমি চাপ নেইনা। আমি চ্যালেঞ্জ বা চাপ কোনোটাই নিতে চাচ্ছি না। আসলে সাফে সোহেল যেটা করেছিল, এটা খেলার অংশ। নেহায়েত একটা ভুল। তাছাড়া আর কিছু না। তবে আমি সেই ভুলটা করতে চাই না।”