‘এফ’ গ্রুপের ম্যাচে মঙ্গলবার রাতে ২-১ গোলে জেতে সিটি। এবারের আসরে এটাই তাদের প্রথম জয়। সের্হিও আগুয়েরো সমতা ফেরানোর পর শেষ সময়ে গোল করে দলকে তিন পয়েন্ট এনে দেন দাভিদ সিলভা।
ঘরের মাঠে জার্মানির ক্লাব হফেনহাইমের শুরুটা হয় স্বপ্নের মতো। মাত্র ৪৪ সেকেন্ডে জালের দেখা পেয়ে যায় দলটি।
কেরেম ডেমিরবের ডিফেন্স চেরা পাস অরক্ষিত ইশাক বেলফোদিল এগিয়ে আসা গোলরক্ষক এদেরসনের দুই পায়ের ফাঁক দিয়ে ঠিকানায় পাঠিয়ে দেন। অলিম্পিক লিওর কাছে হার দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করা ইংলিশ চ্যাম্পিয়নরা যেন স্তব্ধ হয়ে যায় আলজেরিয়ার এই ফরোয়ার্ডের গোলে।
শুরুর ধাক্কা সামলে ধীরে ধীরে ম্যাচে ফেরে সিটি। অষ্টম মিনিটে প্রথম ভালো সুযোগ কাজে লাগিয়ে সমতা ফেরান আগুয়েরো। দাভিদ সিলভার দারুণ পাস পেয়ে এই আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকারকে বাড়ান লেরয় সানে। হফেনহাইমের দুই জন খেলোয়াড় একসঙ্গে স্লাইড করতে গিয়ে উল্টো নিজেদের জন্যই বাধা হয়ে দাঁড়ান। তাদের সামনে থেকে বল নিয়ে দারুণ ফিনিশিংয়ে জাল খুঁজে নেন আগুয়েরো।
পঞ্চদশ মিনিটে প্রতি আক্রমণ থেকে সুযোগ আসে রাহিম স্টার্লিংয়ের সামনে। কিন্তু সামনে থাকা গোলরক্ষককে ফাঁকি দিতে পারেননি তিনি। অলিভার বাউমানের পায়ে লেগে পোস্টের বাইরে দিয়ে চলে যায় বল।
শুরুতে গোল হজম করা দুই দল মনোযোগ বাড়ায় রক্ষণে। প্রতি-আক্রমণে জাল খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা চালায় তারা। সেই চেষ্টাগুলো খুব একটা ভীতি ছড়াতে পারেনি প্রতিপক্ষের রক্ষণে।
৫৮তম মিনিটে একটি আক্রমণ ঠেকাতে জায়গা ছেড়ে অনেকটা বাইরে বেরিয়ে আসেন সিটি গোলরক্ষক এদেরসন। একটু বেশি লাফানো বলে ঠিক মতো হেড করতে পারেননি, বল যায় তাকে পেরিয়ে। হফেনহাইমের কেউ এসে সুযোগ নেওয়ার আগেই দলকে রক্ষা করেন সানে।
৭২তম মিনিটে দলকে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করেন আগুয়েরো। বের্নার্দো সিলভার ক্রসে দুর্বল হেড নেন গোলরক্ষক বরাবর।
একের পর এক আক্রমণ করে যাওয়া সিটি এগিয়ে যায় ৮৭তম মিনিটে। গোলটি যেন অস্ট্রিয়ান ডিফেন্ডার স্টেফান পসের উপহার। শট ডি-বক্সে বুক দিয়ে নিচে নামান পস। তিনি শট নেওয়ার আগেই ছুটে এসে বল নিয়ন্ত্রণে নেন সিলভা। তার গড়ানো শট ঝাঁপিয়ে ঠেকাতে পারেননি গোলরক্ষক।
দুই ম্যাচে এক জয়ে ৩ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে ম্যানচেস্টার সিটি।
গ্রুপের অন্য ম্যাচে ইউক্রেনের শাখতার দোনেৎস্কের সঙ্গে ২-২ ড্র করা ফরাসি ক্লাব লিওঁ ৪ পয়েন্ট নিয়ে আছে শীর্ষে।
২ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে শাখতার। হফেনহাইমের পয়েন্ট ১।