লাওসকে ১-০ গোলে হারিয়ে বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপের সেমি-ফাইনালে ওঠার কাজটা অনেকটা এগিয়ে রেখেছে বাংলাদেশ। বুধবার ফিলিপিন্স-লাওস ম্যাচ ড্র বা লাওস হারলে এক ম্যাচ হাতে রেখে সেরা চারে উঠে যাবে বাংলাদেশ। স্বাভাবিকভাবে এ ম্যাচে দৃষ্টি থাকছে দলের।
ফিলিপিন্স-লাওস ম্যাচে সমীকরণ মিলে যাওয়ার আশা আছে বাংলাদেশের। কিন্তু ডে-জীবন-জনি-বিপলুরা সমীকরণ না মেলার বিষয়টিও মাথায় রাখছেন ভালোভাবে। কোচ যেমন মনে করিয়ে দিলেন গত সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে দুই ম্যাচ জিতেও সেমি-ফাইনালে উঠতে না পারার দুঃস্মৃতি।
“আমরা তো চাইব সেমি-ফাইনালে যেতে। যদি সেটা বুধবারই নির্ধারণ হয়ে যায় তাহলে ভালো। লাওস ড্র কিংবা হারলেই বাংলাদেশ সেমিতে চলে যাবে। সাফে তো দুই ম্যাচে জিতেও সেমি-ফাইনালে যাওয়া হলো না। বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপে সেটা যেন না হয়।”
লন্ডনের রঙিন স্বপ্নের হাতছানিতে সাড়া না দিয়ে দেশে থেকে যাওয়া বিপলুও জানালেন ফিলিপিন্সের বিপক্ষের ম্যাচটি ঠিকই ভাবনায় আছে তার।
“লাওসকে হারিয়ে একটা কাজ শেষ হয়েছে আমাদের। কিন্তু এখন আমাদের ভাবনায় ফিলিপিন্সের বিপক্ষের ম্যাচ। লাওসের সঙ্গে ওদের ম্যাচের ফল কি হয় সেদিকে চোখ থাকবে, ওদের ম্যাচটাও আমরা দেখব কিন্তু আমাদের মূল ভাবনা নিজেদের শেষ ম্যাচ নিয়ে।”
মিডফিল্ডার মাশুক মিয়া জনিও জানালেন তাদের চোখ ফিলিপিন্স-লাওস ম্যাচে কিন্তু ‘মিশন’ ফিলিপিন্সকে শেষ ম্যাচে হারানোর।
“লাওস হারলে বা ড্র করলে আমরা সেমি-ফাইনালে চলে যাবো। আমাদের যেমন বুধবারের ম্যাচের দিকে দৃষ্টি আছে, তেমনি গ্রুপের শেষ ম্যাচে ফিলিপিন্সিকে হারানোর মিশন আছে। এবার কোনমতেই ভুল করা যাবে না। আমাদের সেমি-ফাইনালে যেতেই হবে।”
ফরোয়ার্ড নাবীব নেওয়াজ জীবন জানালেন বড় কিছুর জন্য বড় উদযাপন তুলে রেখেছেন তারা। লাওসকে হারানোর পর ড্রেসিংরুমে ফিরে তাই একটু-আধটু কথা-বার্তার মধ্যেই ছিল জয় উদযাপন।
“ওভাবে উদাযপন করা হয়নি। তার কারণ সামনে শক্তিশালী ফিলিপিন্সের সঙ্গে ম্যাচ আছে আমাদের। যদি বুধবার সেমি-ফাইনালে ওঠার বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়ে যায়, তাহলে ভালো। না হলে আমাদের ফিলিপিন্সের বিপক্ষে খেলতে হবে। এরপর আরও কঠিন ম্যাচ আছে। আমরা তাই বড় কিছুর জন্য উদযাপনটা তুলে রাখছি আপাতত।”