সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে সোমবার লাওসে ১-০ গোলে হারায় বাংলাদেশ।
গোলশূন্য প্রথমার্ধে আক্রমণে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু মাহবুবুর রহমান সুফিল, নাবীব নেওয়াজ জীবনরা লক্ষ্যভ্রষ্ট শটে গ্যালারিতে আসা হাজারো সমর্থকের হতাশা বাড়াতে থাকেন। দ্বিতীয় মিনিটে বাঁ দিক থেকে সুফিলের বাড়ানো বলের নাগাল বিপলু পাওয়ার আগেই গোলরক্ষকের গ্লাভসে জমে যায়।
একাদশ মিনিটে ওয়ালী ফয়সালের লম্বা করে বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে জীবনের শট বেরিয়ে যায় দূরের পোস্ট দিয়ে। প্রতিআক্রমণ নির্ভর খেলা লাওস দুই মিনিট পর সুযোগ পায়। কিন্তু সতীর্থের বাড়ানো বলে বাউনথাভি সিপাসং হেড করলেও ঠিকানা খুঁজে পায়নি।
দুই উইং ধরে আক্রমণ সাজানো বাংলাদেশের আরেকটি সুযোগ নষ্ট হয় ২২তম মিনিটে। ডান দিক থেকে বিপলুর ক্রসে ঠিকঠাক হেড করতে পারেননি রবিউল হাসান। একটু পর সুফিল ডি বক্সের ভেতর থেকে লক্ষ্যভ্রষ্ট শটে হতাশা আরও বাড়ান।
২৯তম মিনিটে বিপলুর লম্বা করে বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডান দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠেন জীবন। দুর্বল শটে একা গোলরক্ষকের গ্লাভসে বল তুলে দিয়ে প্রথমার্ধের সেরা সুযোগটি নষ্ট করেন এই ফরোয়ার্ড।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে জীবনের আড়াআড়ি পাসে সুফিলের জোরালো শট পোস্টের বাইরে। এরপর দুটি সুযোগ নষ্ট করেন লাওসের সুকচিন্দা নাতফাসুক। ৪৯তম মিনিটে এই ফরোয়ার্ডের শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে যাওয়ার পর ৫৪তম মিনিটের হেডও অল্পের জন্য ক্রসবারের ওপর দিয়ে যায়।
৫৯তম মিনিটের গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। জীবনের হেড গোলরক্ষক ফিস্ট করার পর ক্রসবারে লেগে ফেরে। এরপর এক ডিফেন্ডারের বিপদমুক্ত করতে শট নিলে বল জীবনের পায়ে লেগে চলে যায় ডান দিকে থাকা বিপলুর কাছে; এই মিডফিল্ডারের শট গোলরক্ষকের পায়ে লেগে কাছের পোস্ট দিয়ে জালে জড়ালে উৎসবে নেচে ওঠে গ্যালারি। একটু পর জীবনের হেড ফিরিয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ হতে দেননি গোলরক্ষক।
লাওসের বিপক্ষে এই প্রথম জয় পেলো দল। আগের দুই দেখায় লাওসের জয় ছিল একটি; অন্য ম্যাচটি ড্র। আগামী শুক্রবার ‘বি’ গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে ফিলিপিন্সের মুখোমুখি হবে জেমি ডের দল।