সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ‘বি’ গ্রুপে দুই দলের ম্যাচ দিয়ে পর্দা উঠবে বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপের পঞ্চম আসরের।
ফিফার র্যাঙ্কিংয়ে লাওস (১৭৯) বাংলাদেশের (১৯৩) চেয়ে এগিয়ে। দুই দেখায় লাওসের জয় একটি; বাকি ম্যাচটি ড্র। দুই দলের সর্বশেষ ২-২ ড্র ম্যাচটি অবশ্য বাংলাদেশকে বাড়তি অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছে। গত মার্চে প্রায় দেড় বছর পর আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নামা দল লাওসের মাঠে দুই গোলে পিছিয়ে পড়ার পর ঘুরে দাঁড়িয়ে ড্র করেছিল। ওই ম্যাচে বাংলাদেশের কোচ ছিলেন অ্যান্ড্রু অর্ড। এবার জেমি ডে। কোচ বদল হয়নি লাওসের। তবে সংবাদ সম্মেলনে মুন হেংয়ের কথায় বাংলাদেশ নিয়ে মনোভাব বদলের ইঙ্গিত বেশ স্পষ্ট।
“বাংলাদেশ কিছুদিন আগে আমাদের বিপক্ষে খেলেছিল, সেটা অর্ডের সময়ে। এখন জেমির অধীনে আছে। বাংলাদেশ সাম্প্রতিক সময়ে সাফের সেমি-ফাইনালে উঠতে পারেনি; তবে তারা ওঠার মতো পরিস্থিতি তৈরি করেছিল। এর মানে হচ্ছে, জেমি তার কাজটা করছে এবং বাংলাদেশও উন্নতি করছে।”
গত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে টানা দুই জয়ের পর গোল ব্যবধানের মারপ্যাঁচে সেরা চারে উঠতে না পারাটাও বাংলাদেশকে তাতিয়ে রেখেছে। কোচ জেমির কথাতে তার ছাপ। তবে লাওসকে সমীহও করছেন ইংলিশ এই কোচ।
“দলের সবাই ফিট আছে এবং খেলার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। আমরা এই টুর্নামেন্টের জন্য মুখিয়ে আছি। ছেলেরা খেলার জন্য তৈরি…শুধু এটা বলব না; আমি বলব আমরা ভালো খেলতে আশাবাদী। আমরা গত সাফ থেকে আত্মবিশ্বাস নিয়েছি। যদিও সেখানে সেমিতে যেতে না পারাটা ছিল হতাশার কিন্তু তিন ম্যাচেই ভালো খেলেছিলাম আমরা।”
“যদি লাওসের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ জিততে পারি তাহলে আমাদের সেমি-ফাইনাল অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যাবে। অন্যদিকে প্রথম ম্যাচের হার আমাদের টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকেও দিতে পারে। আমাদের জয়ের জন্য চেষ্টা করা দরকার। তারাও কঠিন দল এবং তাদেরও ভালো খেলোয়াড়, কোচ আছে। কিন্তু আমরা প্রস্তুত। আশা করি গত কয়েক সপ্তাহর কঠোর পরিশ্রমের ফল পাব।”
“আমাদের দলটা তরুণ। এ দলে অনেক নতুন খেলোয়াড় আছে। তাই প্রথম ম্যাচে আমাদের লক্ষ্য আমরা কিভাবে গুছিয়ে নিব, সেটা। যেকোনো টুর্নামেন্ট প্রথম ম্যাচ স্বাগতিকদের বিপক্ষে খেলা কঠিন। তবে আশা করি আমার দলও লড়াকু ফুটবল খেলবে।”
বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপে আগের চার আসরে বাংলাদেশের সেরা সাফল্য ২০১৫ সালের ফাইনালে ওঠা। গতবার দল ছিটকে পড়ে সেমি-ফাইনাল থেকে। গত চার আসরে ক্লাব পর্যায় ও বয়সভিত্তিক দলের অংশগ্রহণ ছিল। এবার বাংলাদেশের গ্রুপে থাকা ফিলিপিন্স ছাড়া বাকি চারটিই জাতীয় দল। অবশ্য ফিলিপিন্সের ম্যানেজার সংবাদ সম্মেলনে জানান, জাতীয় দলের নয় খেলোয়াড় বাংলাদেশের আসার পথে রয়েছেন। সব মিলিয়ে এবার মামুনুল-জামালদের সামনের পথটাও কঠিন। কোচ তাই লাওস ম্যাচ নিয়ে থাকছেন আপাতত।
“আমাদের প্রথম লক্ষ্য গ্রুপ পর্ব পেরুনো। সেটা পেরুতে হলে লাওসের বিপক্ষে জেতাটা গুরুত্বপূর্ণ।”